শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩১ ফাল্গুন ১৪৩১
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩১ ফাল্গুন ১৪৩১

পরীক্ষা দিতে এসে ইবি ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক

ইবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫, ৮:৪৮ পিএম | 75 বার পড়া হয়েছে
পরীক্ষা দিতে এসে ইবি ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক হয়েছে। পরে তাদের ইবি থানায় সোর্পদ করা হয়।

রোববার (০২ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের পরীক্ষার হল থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকতরা হলেন, ইবি শাখা ছাত্রলীগের উপ–আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মাঝহারুল ইসলাম নাঈম ও হল ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন। তারা ২০১৮–১৯২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা জানান, সমাজকল্যাণ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা চলছিল। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিযুক্ত দুই নেতাও পরীক্ষা দিতে আসে। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই শিক্ষার্থীরা তাদের চিহ্নিত করে প্রতিবাদ শুরু করে। পরে প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে তাদের দুজনকে বের করে আনা হয়। পরবর্তীতে ভবনের নিচতলায় এলে মারুফকে মারধর করা হয়। এ সময় উভয়কে প্রক্টরিয়াল বডির গাড়িতে থানায় সোপর্দ করা হয়। তাছাড়া তাদের উত্তরপত্র কেটে দেন বিভাগের শিক্ষক শ্যাম সুন্দর সরকার।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুখলেসুর রহমান সুইট বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও তাদের দোসরদের কোনো ছাড় হবে না। যারা তাদের প্রশ্রয় দিবে তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না। যেসব খুনিদের হাতে শহীদদের রক্ত লেগে আছে, তাদের কার্যক্রম চালানোর কোনো অধিকার নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, বিভাগের শিক্ষকরা প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় তাদের থানায় সোপর্দ করে। নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। এছাড়া ইতোমধ্যেই কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জমা আছে কি না— তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইবি থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। ইতোপূর্বে নিষিদ্ধ সংগঠন সংক্রান্ত (সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০১৩) একটি মামলা আমাদের থানায় রয়েছে। সে মামলাতেই তাদের চালান করা হবে।

কুষ্টিয়ায় একা বাড়িতে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

মেজবা উদ্দিন পলাশ প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১:০৭ এএম
কুষ্টিয়ায় একা বাড়িতে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথরাপুর বড়বাজার আশ্রয় প্রকল্প এলাকায় এক চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তারই এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় ৫৫ বছর বয়সী সাহাজুল ফকির নামের ওই বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত পহেলা মার্চ দুপুরে ওই শিশুটি তার বাড়িতে একা ছিল। এ সময় একই গ্রামের সাহাজুল ফকির শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে তার মা ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তকে দেখে ফেলেন। পরে সেখান থেকে সাহাজুল দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কয়েকদিন ধরেই এলাকাজুড়ে নানা গুঞ্জন চলছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হলেও শিশুটির বাবা তা আপস করতে রাজি হননি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির বাবা ও অভিযুক্ত সাহাজুলকে থানায় নিয়ে আসে। পরে শিশুটির বাবা রাতেই থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত সাহাজুল ফকিরকে গ্রেপ্তার করে এবং শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান,অভিযুক্ত সাহাজুল পেশায় রাজমিস্ত্রি। শিশুর বাড়ির পাশে মেছের ফকিরের আস্তানায় নিয়মিত গাঁজা সেবন করতে যায়। গেল কয়েকদিন ধরে মেছের ফকির বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, “অভিযুক্ত সাহাজুল ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ওই শিশুটি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

শৈলকুপায় গলায় ছুরি ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

মো:মিজানুর রহমান(বিশেষ প্রতিনিধি) প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ৫:৩৩ পিএম
শৈলকুপায় গলায় ছুরি ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, গত ৩ মার্চ দেবতলা গ্রামের আহতাফ কাজীর ছেলে রিপন কাজী তার মেয়েকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এর কয়েক দিন পর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

তখন সে বাসায় ঘটনাটি খুলে বলে। সে জানায়, এর আগেও রিপন তাকে একইভাবে কয়েকবার ধর্ষণ করেছে। তখন এ কথা কাউকে না বলতে তাকে গলায় ছুরি ধরে ভয়ভীতি দেখানো হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লোকলজ্জার ভয়ে তাকে কুষ্টিয়ায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাই।

পরে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে আমরা থানা-পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’

শৈলকুপা থানার পরিদর্শক শাকিল আহমেদ বলেন, ‘অভিযুক্তকে আটকের জন্য আমরা অভিযান চালাচ্ছি। এ ছাড়া ভুক্তভোগীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

Oplus_131072

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসেবে আজ ভোররাতে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার কামালপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি কর্তৃক পরিচালিত এই অভিযানে কুষ্টিয়া
দৌলতপুর থানাধীন কামালপুরের পচা বিটা এলাকার মোঃ জামাল উদ্দিনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযানের সময় বাড়ির ছাদের ওপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি অস্ত্রের বিস্তার এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতির ঝুঁকি মাথায় রেখে সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরও এর বাইরে নয়। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রটির প্রকৃতি ও উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে তদন্ত করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দেশব্যাপী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীর অভিযান আরও জোরদার করা হবে। অপরাধ দমন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়েছে।