
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক হয়েছে। পরে তাদের ইবি থানায় সোর্পদ করা হয়।
রোববার (০২ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের পরীক্ষার হল থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকতরা হলেন, ইবি শাখা ছাত্রলীগের উপ–আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মাঝহারুল ইসলাম নাঈম ও হল ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন। তারা ২০১৮–১৯ ও ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানান, সমাজকল্যাণ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা চলছিল। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিযুক্ত দুই নেতাও পরীক্ষা দিতে আসে। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই শিক্ষার্থীরা তাদের চিহ্নিত করে প্রতিবাদ শুরু করে। পরে প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে তাদের দুজনকে বের করে আনা হয়। পরবর্তীতে ভবনের নিচতলায় এলে মারুফকে মারধর করা হয়। এ সময় উভয়কে প্রক্টরিয়াল বডির গাড়িতে থানায় সোপর্দ করা হয়। তাছাড়া তাদের উত্তরপত্র কেটে দেন বিভাগের শিক্ষক শ্যাম সুন্দর সরকার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুখলেসুর রহমান সুইট বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও তাদের দোসরদের কোনো ছাড় হবে না। যারা তাদের প্রশ্রয় দিবে তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না। যেসব খুনিদের হাতে শহীদদের রক্ত লেগে আছে, তাদের কার্যক্রম চালানোর কোনো অধিকার নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, বিভাগের শিক্ষকরা প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় তাদের থানায় সোপর্দ করে। নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। এছাড়া ইতোমধ্যেই কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জমা আছে কি না— তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইবি থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। ইতোপূর্বে নিষিদ্ধ সংগঠন সংক্রান্ত (সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০১৩) একটি মামলা আমাদের থানায় রয়েছে। সে মামলাতেই তাদের চালান করা হবে।