শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

পবিত্র রমজানের প্রথম রোজা

ইফতারের গুরুত্ব

ধর্ম ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫, ১:৪২ পিএম | 19 বার পড়া হয়েছে
ইফতারের গুরুত্ব

ইফতারের গুরুত্ব

গত রাতে সাহরির মাধ্যমে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজানের প্রথম রোজা। আজ সূর্যাস্তের পর ইফতারের মাধ্যমে রোজা ভাঙা হবে। ইসলামে সিয়ামসাধনা বা রোজা ফরজ ইবাদত। তবে এটি যাতে আত্মনিগ্রহ না হয়ে দাঁড়ায়, সে জন্য রোজা শেষে ইফতারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সারা দিন সিয়ামসাধনায় রত থেকে ক্ষুধা ও তৃষ্ণার্ত অবস্থায় ইফতার সামনে নিয়ে অপেক্ষা করা কী যে আনন্দের তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এ ব্যাপারে রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘রোজাদারের জন্য দুটি বিশেষ আনন্দের সময় রয়েছে- এক. ইফতারের সময়। দুই. মহান প্রভুর দিদার লাভের সময়।’ (বুখারি)

ইহুদিদের রোজা ছিল আত্মনিগ্রহের। দেহ ও মনকে কষ্ট দেওয়ার রোজা। ইসলামের রোজা তেমন নয়। আল্লাহ বান্দাকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। নামাজ, রোজা, হজ সবকিছুই ফরজ ইবাদত। তবে ইবাদতের নামে বাড়াবাড়িও ইসলামের শিক্ষার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। বান্দা ইবাদতের নামে আত্মনিগ্রহের আশ্রয় নেবে, তা মহান আল্লাহর কাম্য নয়।

ইবাদতের নামে নিজের সাধ্যের চেয়ে বেশি কিছু করার ধারণাকেও উৎসাহিত করা হয়নি আল কোরআন ও হাদিসে। জীবনযাপন ও ইবাদত সব ক্ষেত্রে স্বাভাবিকতা বজায় রাখাই ইসলামের শিক্ষা। পথিক যেমন অবিরত পথ অতিক্রম করে, অনুকূল সময়ে সফর করে, অবশিষ্ট সময়ে নিজেও বিশ্রাম নেয় এবং নিজের বাহনকেও বিশ্রামের সুযোগ দেয়, দীনের পথের পথিকের অবস্থাও তেমন হওয়া উচিত।

নিজেকে সামর্থ্যরে অতিরিক্ত কঠোরতার মধ্যে নিক্ষেপ করা, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তরিকার প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে নফল ইবাদতে কড়াকড়ি করা ইত্যাদি কারণে দীনের মধ্যে বাড়াবাড়ির পথ উন্মুক্ত হয়ে যায়। হুজায়ফা ইবনুল ইয়ামান (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নিজের মর্যাদাহানি করা মুমিন ব্যক্তির জন্য শোভা পায় না। সাহাবিরা বললেন, মুমিন ব্যক্তি কেমন করে নিজের মর্যাদাহানি করতে পারে? তিনি বললেন, নিজেকে সামর্থ্যরে অতিরিক্ত পরীক্ষার সম্মুখীন করা।’ তিরমিজি থেকে মিশকাতে, বাব জামিউদ-দুআ।

উপরিউক্ত হাদিসে স্পষ্ট হয়, মানুষ সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করুক আল্লাহ ও তাঁর রসুল তেমনটিই চেয়েছেন। এ ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ির কোনো অবকাশ নেই। হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রসুলুল্লাহ (সা.) নামাজ আদায়ের আগে কয়েকটি ভেজা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। যদি ভেজা খেজুর না থাকত তবে সাধারণ শুকনো খেজুরই গ্রহণ করতেন। যদি তা-ও না থাকত তবে কয়েক ঢোক পানিই হতো তাঁর ইফতার।’ (তিরমিজি)।

হজরত ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘রসুলুল্লাহ (সা.) যখন ইফতার করতেন তখন বলতেন, আমার তৃষ্ণা নিবৃত্ত হয়েছে, আমার শিরা-উপশিরা সিক্ত হয়েছে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় আমার পুরস্কারও নির্ধারিত হয়েছে।’ (আবু দাউদ)। ইফতারের সময় হওয়ামাত্র দ্রুত ইফতার গ্রহণ করা সুন্নত। রসুল (সা.) অত্যন্ত আগ্রহ ও ব্যাকুলতার সঙ্গে ইফতার গ্রহণ করতেন এবং ইফতারের সময় হলে দ্রুত ইফতার করতেন। সাহাবায়ে কিরামও সর্বদা তাড়াতাড়ি ইফতার করতেন এবং দেরিতে সাহরি করতেন।

এ সম্পর্কে মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আমি ওই ব্যক্তিকে সর্বাধিক ভালোবাসি যে ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইফতার করে নেয়।’ (তিরমিজি)। তিনি আরও ইরশাদ করেন, ‘মানুষ যত দিন তাড়াতাড়ি ইফতার করবে তত দিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে।’ (বুখারি)।

সারা দিন অভুক্ত থেকে ইফতার সামনে নিয়ে চোখের দুই ফোঁটা পানি ছেড়ে দিয়ে বান্দা যখন আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করে, মহান আল্লাহ তখন তাঁর প্রিয় বান্দাকে রহমতের চাদরে আবৃত করে নেন, অপরাধগুলো মার্জনা করেন এবং তার সব ফরিয়াদ কবুল করে নেন। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো প্রত্যাখ্যান করা হয় না। ১. ন্যায়পরায়ণ বাদশাহর দোয়া ২. ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া ৩. মজলুমের দোয়া।’ (তিরমিজি)

মাহে রমজানে রোজাদারকে ইফতার করানো একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল ও সওয়াবের কাজ। রসুল (সা.) রোজাদারকে ইফতার করানোর ব্যাপারে সাহাবায়ে কিরামকে উৎসাহিত করেছেন এবং একে ফজিলতময় ও সওয়াবের কাজ বলে ঘোষণা করেছেন। এ ব্যাপারে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কেউ যদি মাহে রমজানে কোনো রোজাদারকে ইফতার করায় তাহলে ওই ইফতার করানোটা তার গুনাহ মাফের ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির কারণ হবে এবং সে রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে অথচ রোজাদারের সওয়াব বিন্দুমাত্রও কমানো হবে না।

সাহাবিরা আরজ করলেন, হে আল্লাহর রসুল! আমাদের সবার তো আর রোজাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই। প্রিয়নবী (সা.) বললেন, আল্লাহ তাকেও এ সওয়াব দান করবেন যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে এক ঢোক দুধ অথবা একটি খেজুর কিংবা এক চুমুক পানি দ্বারাও ইফতার করাবে।’

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

Oplus_131072

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসেবে আজ ভোররাতে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার কামালপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি কর্তৃক পরিচালিত এই অভিযানে কুষ্টিয়া
দৌলতপুর থানাধীন কামালপুরের পচা বিটা এলাকার মোঃ জামাল উদ্দিনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযানের সময় বাড়ির ছাদের ওপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি অস্ত্রের বিস্তার এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতির ঝুঁকি মাথায় রেখে সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরও এর বাইরে নয়। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রটির প্রকৃতি ও উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে তদন্ত করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দেশব্যাপী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীর অভিযান আরও জোরদার করা হবে। অপরাধ দমন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়েছে।

শৈলকুপায় গড়াই নদীর কুমির জাল দিয়ে ধরলো গ্রামবাসী

মো:মিজানুর রহমান(বিশেষ প্রতিনিধি) প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৯:২৬ এএম
শৈলকুপায় গড়াই নদীর কুমির জাল দিয়ে ধরলো গ্রামবাসী

Oplus_131072

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গড়াই নদীর সেই আলোচিত কুমিরটি আটক করেছে এলাকাবাসী।

বুধবার রাতে উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের সুবিদ্দাহ গোবিন্দপুর একটি বাড়ি থেকে কুমিরটিকে আটক করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের সুবিদ্দাহ গোবিন্দপুর গ্রামের একটি বাড়িতে উঠে আসে কুমিরটি। এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে মাছ শিকার করা জাল দিয়ে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে কুমিরটিকে। তাদের জালে আটকা পড়ে কুমিরটি। সকলে মিলে কুমিরটিকে রশি দিয়ে বেঁধে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে এলাকায় ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ায়।

স্থানীয় বাসিন্দা সোহাগ বলেন, হঠাৎ করে জানতে পারি আমাদের গড়াই নদীতে ভেসে বেড়ানো চারটি কুমিরের মধ্যে একটি কুমির লোকালয়ের একটি বাড়িতে উঠে এসেছে। আমরা সকলে মিলে কুমিরটিকে জাল দিয়ে আটক করেছি।

ঝিনাইদহ বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন বলেন, গড়াই নদীতে ভেসে বেড়ানো কুমিরটি রাতে একটি বাড়িতে উঠে এলে স্থানীয়রা কুমিরটিকে আটক করে। শৈলকুপা থানা পুলিশ ও ঝিনাইদহ বন বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

যেহেতু ঝিনাইদহ বন বিভাগের জনবলের কুমির উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদি নেই। সেহেতু আমরা খুলনা বন বিভাগকে বিষয়টি জানিয়েছি। খুলনা থেকে একটি টিম আসছে। তাঁরা পৌঁছে কুমিরটি উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে উপযুক্ত স্থানে অবমুক্ত করবে।

কুষ্টিয়ায় অবৈধভাবে বীজ বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ীকে জরিমানা

মেজবা উদ্দিন পলাশ প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১১:৩০ পিএম
কুষ্টিয়ায় অবৈধভাবে বীজ বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ীকে জরিমানা

কুষ্টিয়ার মিরপুরে অবৈধভাবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)’র ধান বীজ বিক্রির দায়ে “রওনক বীজ ভান্ডার” এর মালিক ইয়াছিন আলীকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিরপুর উপজেলার পৌর পশুহাটের মার্কেটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)নাজমুল ইসলামের নেতেৃত্ব ভ্রাম্যমান আদালতের একটি দল অভিযান পরিচালনা করেন।

নাজমুল ইসলাম জানান, অবৈধভাবে বিএডিসি’র ধানবীজ বিক্রির দায়ে “রওনক বীজ ভান্ডার” এর মালিক ইয়াছিন আলীকে বীজ আইন-২০১৮ এর ২৪(২)ধারা মোতাবেক দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে অবৈধভাবে ক্রয়কৃত ১হাজার ৭শ ৭০বস্তা ধানবীজ আগের মালিকের কাছে ফেরত পাঠাতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার অগ্নিবীনা সড়কের বিএডিসির অনুমোদিত বীজ ডিলার “রামিম বীজ ভান্ডার” থেকে ১হাজার ৭শ ৭০বস্তা ব্রি-ধান ৯৮ জাতের ধান বীজ ৬৩০টাকা বস্তা দরে ক্রয় করেন “রওনক বীজ ভান্ডার” এর মালিক ইয়াছিন আলী।

এসময় জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসের বহিরাঙ্গন অফিসার সেলিম হোসেন, মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।