শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

ভারত ম্যাচে নাহিদ রানাকে না খেলানো ভুল

ক্রীড়া ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:২৬ পিএম | 5 বার পড়া হয়েছে
ভারত ম্যাচে নাহিদ রানাকে না খেলানো ভুল

ভারত ম্যাচে নাহিদ রানাকে না খেলানো ভুল

নাজমুল হোসেন শান্ত ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ভারতের বিপক্ষে জিততে হলে টপঅর্ডার ব্যাটারদের বড় ইনিংস খেলতে হবে। অথচ তাঁকে নিয়ে তিন টপঅর্ডারের কেউই ভালো করতে পারেননি। উল্টো ৩৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী। ১৫৪ রানের জুটি গড়ে দলকে শোভন স্কোরে নিয়ে গেছেন তারা। ক্যারিয়ারে মেডেন সেঞ্চুরিও করেছেন হৃদয়। এই লড়াকু ব্যাটিং করে দু’জন প্রশংসিত হয়েছেন দল হেরে গেলেও। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের কাছ থেকে বাহাবা পেয়েছেন হৃদয়-জাকের। গ্রুপের বাকি দুই ম্যাচেও এ দুই ব্যাটারের ওপর আস্থা রাখতে চান তিনি। রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪ ফেব্রুয়ারির ম্যাচেও হয়তো একাদশে থাকছেন না মাহমুদউল্লাহ।

বাংলাদেশের টপঅর্ডার ব্যাটাররা নিয়মিত রান করছেন না অনেক দিন ধরে। সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম বা নাজমুল হোসেন শান্তরা দ্রুত আউট হলে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু হয় মিডল অর্ডারে। ভারতের বিপক্ষে মিডল অর্ডারের শুরুটাও ভালো ছিল না মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিমের আউটে। ৮.৩ ওভারে পাঁচ উইকেট হারালে দুশ্চিন্তা বাড়ে। হৃদয়-জাকের জুটি গড়ার পরও তাই বড় স্কোর হয়নি। বাশারের মতে, ‘টপঅর্ডার ব্যর্থ হলে কিছু করার থাকে না। তাওহিদ হৃদয় ও জাকের অবিশ্বাস্য একটি জুটি গড়েছে। আসলে ১০ ওভারে ৩৫ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে গেলে যতই ভালো খেলেন, বেশি দূর যেতে পারবেন না। টপঅর্ডারের ব্যর্থতায় ম্যাচটা হাতছাড়া হয়েছে। আমার মনে হয় না, আমরা বোলিং খারাপ করেছি। কন্ডিশন বিবেচনা করে হয়তোবা আরেকটা স্পিনার বেশি নিতে পারত। ফাস্ট বোলাররা ভালো করায় স্পিনার কম নেওয়া।’

বোলিং লাইনআপে নাহিদ রানাকে না দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। ভারতের কাছেও আতঙ্কের নাম তিনি। অথচ পেস বিভাগে জায়গা হয়নি রানার। ব্রেক থ্রু পাওয়ার জন্য হলেও রানাকে খেলানো যেত বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচক বাশার, ‘তৃতীয় সিমার খেলালে আমি নাহিদ রানাকে খেলাতাম বা একজন স্পিনার বেশি নিতাম। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে মাঝের উইকেট না নিতে পারলে রান ডিফেন্ড করা কঠিন। অথবা অন্যরা তিনশ রান করে ফেলবে। এখনকার ব্যাটাররা শেষ ১০ ওভারে ১০০ রান করে। তাই কম রানে প্রতিপক্ষকে আটকাতে হলে মাঝের উইকেট নিতে হবে। আমাদের উইকেট টেকিং বোলার ছিল নাহিদ। এই বিবেচনায় অবশ্যই নাহিদ রানাকে নেওয়া উচিত ছিল।’ হালকাপাতলা চোট থাকায় ভারতের বিপক্ষে খেলা হয়নি ৩৯ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহর।

পরের ম্যাচে খেলার সম্ভাবনাও কম দেখেন সাবেক নির্বাচক বাশার, ‘মাহমুদউল্লাহর ইনজুরিটা অত বড় নয়। ও ফিট হলে কোথায় খেলবে চিন্তার বিষয়। হৃদয় এবং জাকের খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। হৃদয় ফিট থাকলে, পাঁচটা বোলার লাগবেই। আমার মনে হয় টিম ম্যানেজমেন্টকে এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে হবে।’

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

Oplus_131072

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসেবে আজ ভোররাতে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার কামালপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি কর্তৃক পরিচালিত এই অভিযানে কুষ্টিয়া
দৌলতপুর থানাধীন কামালপুরের পচা বিটা এলাকার মোঃ জামাল উদ্দিনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযানের সময় বাড়ির ছাদের ওপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি অস্ত্রের বিস্তার এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতির ঝুঁকি মাথায় রেখে সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরও এর বাইরে নয়। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রটির প্রকৃতি ও উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে তদন্ত করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দেশব্যাপী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীর অভিযান আরও জোরদার করা হবে। অপরাধ দমন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়েছে।

শৈলকুপায় গড়াই নদীর কুমির জাল দিয়ে ধরলো গ্রামবাসী

মো:মিজানুর রহমান(বিশেষ প্রতিনিধি) প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ৯:২৬ এএম
শৈলকুপায় গড়াই নদীর কুমির জাল দিয়ে ধরলো গ্রামবাসী

Oplus_131072

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গড়াই নদীর সেই আলোচিত কুমিরটি আটক করেছে এলাকাবাসী।

বুধবার রাতে উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের সুবিদ্দাহ গোবিন্দপুর একটি বাড়ি থেকে কুমিরটিকে আটক করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের সুবিদ্দাহ গোবিন্দপুর গ্রামের একটি বাড়িতে উঠে আসে কুমিরটি। এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে মাছ শিকার করা জাল দিয়ে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে কুমিরটিকে। তাদের জালে আটকা পড়ে কুমিরটি। সকলে মিলে কুমিরটিকে রশি দিয়ে বেঁধে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে এলাকায় ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ায়।

স্থানীয় বাসিন্দা সোহাগ বলেন, হঠাৎ করে জানতে পারি আমাদের গড়াই নদীতে ভেসে বেড়ানো চারটি কুমিরের মধ্যে একটি কুমির লোকালয়ের একটি বাড়িতে উঠে এসেছে। আমরা সকলে মিলে কুমিরটিকে জাল দিয়ে আটক করেছি।

ঝিনাইদহ বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন বলেন, গড়াই নদীতে ভেসে বেড়ানো কুমিরটি রাতে একটি বাড়িতে উঠে এলে স্থানীয়রা কুমিরটিকে আটক করে। শৈলকুপা থানা পুলিশ ও ঝিনাইদহ বন বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

যেহেতু ঝিনাইদহ বন বিভাগের জনবলের কুমির উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদি নেই। সেহেতু আমরা খুলনা বন বিভাগকে বিষয়টি জানিয়েছি। খুলনা থেকে একটি টিম আসছে। তাঁরা পৌঁছে কুমিরটি উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে উপযুক্ত স্থানে অবমুক্ত করবে।

কুষ্টিয়ায় অবৈধভাবে বীজ বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ীকে জরিমানা

মেজবা উদ্দিন পলাশ প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১১:৩০ পিএম
কুষ্টিয়ায় অবৈধভাবে বীজ বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ীকে জরিমানা

কুষ্টিয়ার মিরপুরে অবৈধভাবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)’র ধান বীজ বিক্রির দায়ে “রওনক বীজ ভান্ডার” এর মালিক ইয়াছিন আলীকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিরপুর উপজেলার পৌর পশুহাটের মার্কেটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)নাজমুল ইসলামের নেতেৃত্ব ভ্রাম্যমান আদালতের একটি দল অভিযান পরিচালনা করেন।

নাজমুল ইসলাম জানান, অবৈধভাবে বিএডিসি’র ধানবীজ বিক্রির দায়ে “রওনক বীজ ভান্ডার” এর মালিক ইয়াছিন আলীকে বীজ আইন-২০১৮ এর ২৪(২)ধারা মোতাবেক দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে অবৈধভাবে ক্রয়কৃত ১হাজার ৭শ ৭০বস্তা ধানবীজ আগের মালিকের কাছে ফেরত পাঠাতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার অগ্নিবীনা সড়কের বিএডিসির অনুমোদিত বীজ ডিলার “রামিম বীজ ভান্ডার” থেকে ১হাজার ৭শ ৭০বস্তা ব্রি-ধান ৯৮ জাতের ধান বীজ ৬৩০টাকা বস্তা দরে ক্রয় করেন “রওনক বীজ ভান্ডার” এর মালিক ইয়াছিন আলী।

এসময় জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসের বহিরাঙ্গন অফিসার সেলিম হোসেন, মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।