বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর আমীর ডা.শফিকুর রহমান বলেছেন আমরা এসেছি আছিয়ার মা বাবা কে সহানুভূতি জানাতে। এ পরিবারের দোয়া নিতে।আর এসেছি বুজতে কিভাবে এ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো যায়। আমরা চাই এ মেয়েটির বিচার কার্য এবং রায় দ্রুত কার্য্যকর দেখতে। তাতে এ পরিবার খুব খুশি এবং বাংলাদেশের মানুষ ও খুশি হবে।
শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে আছিয়ার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হেলিকপ্টারে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নামেন জামায়াতে আমীর। তাকে দেখতে মাঠের চারপাশে শত শত মানুষের ঢ্ল নামে।
সেখান থেকে সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে আছিয়ার কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এর পর সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জামায়াতে ইসলামীর মাগুরা জেলা শাখার আয়োজনে শিশু আছিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আছিয়ার ঘটনায় মামলার বিচারে যে ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে, সেটা আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু সতর্ক করে দিতে চাই, এটা ৯১ দিন হলে আমরা মানব না। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না করলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনায় আগে বিচার তেমন হয়নি। ধর্ষণের বিচারে আগে কয়েকটি ফাঁসি হলেও বেশির ভাগ দোষী ছাড়া পেয়ে গেছে।ধর্ষণের বিচার একমাত্র ফাঁসি।
ডা.শফিকুর রহমান বলেন,সাত দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার জন্য অনেকে বলছেন। আমরা তাতে একমত নই। কারণ মামলার কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। সেটা সঠিক বিচার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেয়। যে জন্য ৯০ দিনই ঠিক আছে।
এরপর জামায়াতে আমীর জারিয়া গ্রামে আছিয়ার বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের দেখতে যান। যদিও তখন আছিয়ার মা বাড়িতে ছিলেন না।
তবে আছিয়ার খালা ধোলায় বেগম রোকেয়ার সাথে একান্তভাবে সাক্ষাৎ করেন এবং পরিবার টা যেন ভালোভাবে চলে সেরকম একটা ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন পরিবাটিকে।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তারেক, জামায়াতের যশোর – কুষ্টিয়া অঞ্চলের অঞ্চল পরিচালক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হুসাইন, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক এম.বি বাকেরসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বেলা ১২ টার দিকে তিনি সব্দালপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।