ঈদে বাড়ি ফেরা হলো না মা-ছেলের,হাসপাতালে বাবা


জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে কয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, আহত ৩
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপির ৩ কর্মী গুরত্বর আহত হয়েছেন। আহতরা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল সোমবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রাইডাঙ্গা এলাকার ডায়মন্ড ক্লাব এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আলআমিন হোসেন, মৃত মকছেদ আলীর ছেলে বাচ্চু, মোজাম্মেলে হোসেনের ছেলে মোস্তাকিন।
এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা বিএনপির সদস্য ও কয়া ইউনিয়ন সার্চ কমিটির সদস্য ইমরান হোসেন ইউনুস বলেন, গতকাল সন্ধায় কয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করার সময় রায়ডাঙ্গা এলাকায় পৌছালে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে কুমারখালী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক রাসেল হোসেন আরজু, তার ছোট ভাই শুভ ও কয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক শামীম গং বন্দুক সহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বিএনপির কর্মীদের উপর হামলা করে। এ সময় আমাদের ৩ কর্মী গুরত্বর আহত হয়েছে । তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে বিএনপির নেতা ইউনুস জানালেও কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ঈদগাহ মাঠে টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৯ জন আহত হয়েছে। আহতরা উপজেলা ও জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের নিয়ামতবাড়িয়া শাহ নিয়ামতউল্লাহ ঈদগাহ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন চাঁদপুর ইউনিয়নের নিয়ামতবাড়িয়া এলাকার বদর উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন (৪৬), করিমের ছেলে মুনহর শেখ (৫৫), সিজারত (৪৩), মনজু আলীর ছেলে কলম আলী (৩৮), মনছুর শেখের ছেলে আলম হোসেন (৩০), জিয়া শেখের ছেলে জিহাদ শেখ (১৮), মুজাহিদের ছেলে সাবিদ সাহা, আবু দাউদের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৫০) ও তার ছেলে বাধন শেখ (২১)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নিয়ামতবাড়িয়ার শাহ নিয়ামতউল্লাহ ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা পরিষদের কমিটি নেই। সোমবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ঈদের নামাজে ইমামতি করন মাওলানা সুরুজ আলী। তিনি নামাজ শেষে ঘোষণা দেন, এবার কোনো মসজিদের নামে টাকা আদায় করা যাবে না। হুজুরের কথা অমান্য করে স্থানীয় আলী রেজা (৬০) নামের একজন তার লোকজন দিয়ে টাকা আদায় শুরু করেন। আর তাদের টাকা আদায়ে বাধা দেন ফারুক হোসেন ও তার লোকজন। এনিয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ডাবলু বলেন, ঈদগাহ মাঠে মসজিদের টাকা তোলা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেকেই আহত হয়েছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ঈদগাহ মাঠে টাকা তোলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
কুষ্টিয়ায় চোর খুঁজতে গিয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে শহরের কোর্টপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম বাদল (৩২)। তিনি শহরের পশ্চিম মজমপুরের মৃত মোহনের ছেলে। বাদল পেশায় নির্মাণশ্রমিক ছিলেন।
আজ শনিবার কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, রাতে মিঠুন নামের এক ব্যক্তির সাততলা নির্মাণাধীন ভবনে চোরের দল মালপত্র চুরি করতে আসে। এ সময় বাদলসহ স্থানীয় কয়েকজন ভবনের ছাদে চোর খুঁজতে ওঠেন। তখন অসাবধানতাবশত বাদল নিচে পড়ে যান। পরে তাঁকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।