র্যাবের মানবিক উদ্যোগে ঈদের জামা কেনা হবে কুষ্টিয়ার এতিম মাদ্রাসা ছাত্র আবদুল্লাহর


কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের গোবিন্দগুনিয়া গ্রামের দারুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংয়ের এক সুবিধাবঞ্চিত অসহায় শিক্ষার্থী ছোট্ট ছেলে শিশু আব্দুল্লাহ ইবনে সাফি। বাবা -মা থেকেও যেনো নেই তার কেউ। এতিম ওই মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুল্লাহ কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার মির্জানগর এলাকার এক হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। গত ছয় মাস আগে এই মাদ্রাসা ও এতিমখানায় রেখে গেছেন তার মা। তারপর কেটে গেছেন পুরো ছয় মাস। মায়ের সাথে আর দেখা হয়নি শিশু আব্দুল্লাহর। বর্তমানে আব্দুল্লাহর একমাত্র মাথাগোজার ঠাই এই মাদ্রাসা। পুরনো একটি পাঞ্জাবী ও পুরনো টুপি পরেই প্রতিদিন মক্তবে পড়তে বসতে হয় আব্দুল্লাহকে । পরনের পায়জামাটাও এক সহপাঠির কাছ থেকে নেওয়া। শুধু তাই নয় আব্দুল্লাহ চর্ম রোগে আক্রান্ত। অসুস্থ অবস্থায় সে দিনপার করছে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থার খরচ চালানোর মত কেউ নেই। মাদ্রাসার খরচেই কোন রকম চলছে তার পড়ালেখা। ঈদে নতুন পোশাক দেওয়ার মত কেউ নাই তার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মিডিয়ায় এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয় আব্দুল্লাহর। যেখানে লেখা ছিলো এবারও ঈদের জামা কেনা হবে না আবদুল্লাহর। ভিডিওটি র্যাব হেড কোয়ার্টারের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচর হলে তার ঈদের পোশাক কিনে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় র্যাব ফোর্স।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাতে র্যাব হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে র্যাব-১২ সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার কামরুল ইসলাম সহ র্যাবের একটি টিম মিরপুরের কওমিয়া মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংয়ে পৌছায়। সেখানে এতিম মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুল্লাহকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন এবং তার ঈদের জন্য নতুন পোশাকের মাপ নিয়ে আসে। পরদিন তার ঈদের পোশাক পৌছিয়ে দেওয়া সহ তার সুস্থতার জন্য চিকিৎসার দায়িত্ব নেন র্যাব কুষ্টিয়া।
এবিষয়ে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার কামরুল ইসলাম জানান, র্যাব হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে আমরা এতিম মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুল্লাহকে সহায়তা হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করেছি। তার ঈদের পোশাকের জন্য দর্জি দিয়ে মাপ নিয়ে আসা হয়েছে৷ আগামীকাল আমরা তার জন্য ঈদের পোশাক দিয়ে আসবো। এছাড়াও ছেলেটি অসুস্থ, রোগে আক্রান্ত তাই র্যাব কুষ্টিয়ার পক্ষ থেকে তার চিকিৎসার জন্য দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে।