বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

মিরপুরে বৃদ্ধ মোয়াজ্জেমকে পিটালেন সুদখোর যুবক

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩০ পিএম | 29 বার পড়া হয়েছে
মিরপুরে বৃদ্ধ মোয়াজ্জেমকে পিটালেন সুদখোর যুবক

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ৮০ বছরের বৃদ্ধ মোয়াজ্জেমকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে মিরপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড আদর্শ পাড়া জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর আমিনকে পিটিয়ে আহত করে একই এলাকার বখাটে সুদখোর কাজী রঞ্জু (৪৫)। বখাটে সুদখোর কাজী রঞ্জু ৬নং ওয়ার্ডের কাজী শহীদুল মাওলানার ছেলে।

স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, কয়েকদিন আগে অভিযুক্ত রঞ্জু মসজিদ থেকে রান্নার কাজের জন্য একটি সসপেন নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মসজিদের মোয়াজ্জেম সসপেনটি ফেরত চাইলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে অভিযুক্ত রঞ্জু। একপর্যায়ে বৃদ্ধ মোয়াজ্জেম তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে অভিযুক্ত রঞ্জু কোন রকম কথা ছাড়ায় এলোপাথাড়ি মারপিট করে গুরুত্বর আহত করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় মোয়াজ্জেমকে উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এব্যাপারে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আব্দুল আজিজ বলেন, মোয়াজ্জেমকে পিটিয়ে আহত করার খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

এব্যাপারে অভিযুক্ত রঞ্জুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

মিরপুরে ৬৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩৫ পিএম
মিরপুরে ৬৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক

সারাদেশে যেখানে প্রতি কেজি গরুর মাংস প্রায় ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঠিক সেই সময়ে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে দেশী গরুর মাংস।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে মিরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সম্মুখে এ মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি করতে দেখা যায়। এছাড়ও সুলভ এ মূল্য কার্যক্রমে ৭ টাকা ৭৫ পয়সা পিস হিসেবে ডিম ও ৭০ টাকা লিটার হিসেবে গরুর দুধ বিক্রয় হচ্ছে।

মিরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা সাশ্রয় হওয়াতে লাইন ধরে মাংস কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাদের।

এব্যাপারে মিরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ কাফি বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় আমরা এ কার্যক্রম শুরু করেছি। সুযোগ পেলে কার্যক্রম আরো বাড়াতে চাই।

এব্যাপারে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌসিফুর রহমান উক্ত কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সুলভ মূল্যের এই কার্যক্রম কুষ্টিয়ার বেশ কয়েক জায়গাতে শুরু করেছি। সুলভ মূল্যের এই কার্যক্রম সাধারণ মানুষের জন্য কিভাবে বাড়ানো যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।

এসময় মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মেশকাতুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পীযুষ কুমার সাহা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারন কর্মকর্তা সজিব মিয়া, মিরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মারফত আফ্রিদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীতে প্রতারণার ২০ মামলার আসামি কুষ্টিয়ার সেই হাফিজুর গ্রেফতার

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১:২৪ পিএম
রাজধানীতে প্রতারণার ২০ মামলার আসামি কুষ্টিয়ার সেই হাফিজুর গ্রেফতার

প্রতারণার ২০ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মীর হাফিজুর রহমানকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৩)।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সনদ বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সনদ বড়ুয়া বলেন, র‌্যাব-৩ এর একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় পল্টন থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২০টি প্রতারণা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মীর হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার পোড়াদহের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রেফতার হাফিজুর রহমান আর্থিকভাবে সচ্ছল মানুষদের লক্ষ্য করে তাদের থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে অধিক মুনাফা দেওয়ার কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেন করে আসছেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষের থেকে গ্রহণ করা অর্থের মুনাফা দিতে দেরি হলে বিভিন্ন এলাকায় পলাতক থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিভিন্ন কৌশলে সময়ক্ষেপণ করতেন। পরে গ্রাহকরা অধিক মুনাফার আশায় প্রদান করা টাকা ফেরত চাইলে আসামি নিজেকে আত্মগোপন করেন। তার এ কর্মকাণ্ডে ভুক্তভোগীরা কোনো উপায় না পেয়ে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানায় একাধিক প্রতারণা ও চেক জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন। পরে গ্রাহকরা অধিক মুনাফার আশায় প্রদান করা টাকা ফেরত চাইলে আসামি নিজেকে আত্মগোপন করেন।তার এ কর্মকাণ্ডে ভুক্তভোগীরা কোনো উপায় না পেয়ে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানায় একাধিক প্রতারণা ও চেক জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চার নেতাকে অব্যাহতি

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ৭:২৩ পিএম
কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চার নেতাকে অব্যাহতি

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চার নেতার পদ বাতিলসহ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে সংগঠনটি। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ, নীতিবহির্ভূত ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) দিনগত মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান ও সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (১৫ মার্চ) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, নীতিবহির্ভূত ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় ৪ জন সদস্যের সদস্য পদ বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে সংগঠনে থাকা দায়িত্ব থেকেও তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব মুখলেছুর রহমান ও জেলা শাখার সদস্য সুমন আহমেদ। এছাড়াও গত ২৫ ফেব্রুয়ারী অনুমোদনকৃত কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব এসএম মুবাশ্বির মাহমুদ ও যুগ্ম সদস্য সচিব তালহা জুবায়ের নাবিলের সদস্য পদ বাতিল ও সংগঠনে থাকা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরী সভায় নেতৃবৃন্দদের মতামত ও আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তারা প্রত্যেকেই সংগঠন বিরোধী ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।

এ বিষয়ে কথা বলতে অব্যাহতি প্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি।

এরআগে গতকাল রবিবার রাত ৮টায় কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ মাঠে বৈষম্যবিরোধ ছাত্র আন্দোলনের পদবঞ্চিতদের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৮জন রক্তাক্ত জখম হন। তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়ার আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যতম নেতা সুলতান মারুফ তালহা, আলী আহসান মুজাহিদ, আসাদুল, ইব্রাহীম, আলভী ও ইমন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসিবুর রহমান, সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

এঘটনার জেরে সংগঠন থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলেও এমন গুঞ্জন রয়েছে।