শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩১ ফাল্গুন ১৪৩১
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩১ ফাল্গুন ১৪৩১

ভারত ম্যাচে নাহিদ রানাকে না খেলানো ভুল

ক্রীড়া ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:২৬ পিএম | 7 বার পড়া হয়েছে
ভারত ম্যাচে নাহিদ রানাকে না খেলানো ভুল

ভারত ম্যাচে নাহিদ রানাকে না খেলানো ভুল

নাজমুল হোসেন শান্ত ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ভারতের বিপক্ষে জিততে হলে টপঅর্ডার ব্যাটারদের বড় ইনিংস খেলতে হবে। অথচ তাঁকে নিয়ে তিন টপঅর্ডারের কেউই ভালো করতে পারেননি। উল্টো ৩৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী। ১৫৪ রানের জুটি গড়ে দলকে শোভন স্কোরে নিয়ে গেছেন তারা। ক্যারিয়ারে মেডেন সেঞ্চুরিও করেছেন হৃদয়। এই লড়াকু ব্যাটিং করে দু’জন প্রশংসিত হয়েছেন দল হেরে গেলেও। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের কাছ থেকে বাহাবা পেয়েছেন হৃদয়-জাকের। গ্রুপের বাকি দুই ম্যাচেও এ দুই ব্যাটারের ওপর আস্থা রাখতে চান তিনি। রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪ ফেব্রুয়ারির ম্যাচেও হয়তো একাদশে থাকছেন না মাহমুদউল্লাহ।

বাংলাদেশের টপঅর্ডার ব্যাটাররা নিয়মিত রান করছেন না অনেক দিন ধরে। সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম বা নাজমুল হোসেন শান্তরা দ্রুত আউট হলে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু হয় মিডল অর্ডারে। ভারতের বিপক্ষে মিডল অর্ডারের শুরুটাও ভালো ছিল না মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিমের আউটে। ৮.৩ ওভারে পাঁচ উইকেট হারালে দুশ্চিন্তা বাড়ে। হৃদয়-জাকের জুটি গড়ার পরও তাই বড় স্কোর হয়নি। বাশারের মতে, ‘টপঅর্ডার ব্যর্থ হলে কিছু করার থাকে না। তাওহিদ হৃদয় ও জাকের অবিশ্বাস্য একটি জুটি গড়েছে। আসলে ১০ ওভারে ৩৫ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে গেলে যতই ভালো খেলেন, বেশি দূর যেতে পারবেন না। টপঅর্ডারের ব্যর্থতায় ম্যাচটা হাতছাড়া হয়েছে। আমার মনে হয় না, আমরা বোলিং খারাপ করেছি। কন্ডিশন বিবেচনা করে হয়তোবা আরেকটা স্পিনার বেশি নিতে পারত। ফাস্ট বোলাররা ভালো করায় স্পিনার কম নেওয়া।’

বোলিং লাইনআপে নাহিদ রানাকে না দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। ভারতের কাছেও আতঙ্কের নাম তিনি। অথচ পেস বিভাগে জায়গা হয়নি রানার। ব্রেক থ্রু পাওয়ার জন্য হলেও রানাকে খেলানো যেত বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচক বাশার, ‘তৃতীয় সিমার খেলালে আমি নাহিদ রানাকে খেলাতাম বা একজন স্পিনার বেশি নিতাম। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে মাঝের উইকেট না নিতে পারলে রান ডিফেন্ড করা কঠিন। অথবা অন্যরা তিনশ রান করে ফেলবে। এখনকার ব্যাটাররা শেষ ১০ ওভারে ১০০ রান করে। তাই কম রানে প্রতিপক্ষকে আটকাতে হলে মাঝের উইকেট নিতে হবে। আমাদের উইকেট টেকিং বোলার ছিল নাহিদ। এই বিবেচনায় অবশ্যই নাহিদ রানাকে নেওয়া উচিত ছিল।’ হালকাপাতলা চোট থাকায় ভারতের বিপক্ষে খেলা হয়নি ৩৯ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহর।

পরের ম্যাচে খেলার সম্ভাবনাও কম দেখেন সাবেক নির্বাচক বাশার, ‘মাহমুদউল্লাহর ইনজুরিটা অত বড় নয়। ও ফিট হলে কোথায় খেলবে চিন্তার বিষয়। হৃদয় এবং জাকের খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। হৃদয় ফিট থাকলে, পাঁচটা বোলার লাগবেই। আমার মনে হয় টিম ম্যানেজমেন্টকে এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে হবে।’

কুষ্টিয়ায় একা বাড়িতে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

মেজবা উদ্দিন পলাশ প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১:০৭ এএম
কুষ্টিয়ায় একা বাড়িতে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথরাপুর বড়বাজার আশ্রয় প্রকল্প এলাকায় এক চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তারই এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় ৫৫ বছর বয়সী সাহাজুল ফকির নামের ওই বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত পহেলা মার্চ দুপুরে ওই শিশুটি তার বাড়িতে একা ছিল। এ সময় একই গ্রামের সাহাজুল ফকির শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে তার মা ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তকে দেখে ফেলেন। পরে সেখান থেকে সাহাজুল দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কয়েকদিন ধরেই এলাকাজুড়ে নানা গুঞ্জন চলছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হলেও শিশুটির বাবা তা আপস করতে রাজি হননি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির বাবা ও অভিযুক্ত সাহাজুলকে থানায় নিয়ে আসে। পরে শিশুটির বাবা রাতেই থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত সাহাজুল ফকিরকে গ্রেপ্তার করে এবং শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান,অভিযুক্ত সাহাজুল পেশায় রাজমিস্ত্রি। শিশুর বাড়ির পাশে মেছের ফকিরের আস্তানায় নিয়মিত গাঁজা সেবন করতে যায়। গেল কয়েকদিন ধরে মেছের ফকির বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, “অভিযুক্ত সাহাজুল ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ওই শিশুটি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

শৈলকুপায় গলায় ছুরি ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

মো:মিজানুর রহমান(বিশেষ প্রতিনিধি) প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ৫:৩৩ পিএম
শৈলকুপায় গলায় ছুরি ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, গত ৩ মার্চ দেবতলা গ্রামের আহতাফ কাজীর ছেলে রিপন কাজী তার মেয়েকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এর কয়েক দিন পর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

তখন সে বাসায় ঘটনাটি খুলে বলে। সে জানায়, এর আগেও রিপন তাকে একইভাবে কয়েকবার ধর্ষণ করেছে। তখন এ কথা কাউকে না বলতে তাকে গলায় ছুরি ধরে ভয়ভীতি দেখানো হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লোকলজ্জার ভয়ে তাকে কুষ্টিয়ায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাই।

পরে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে আমরা থানা-পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’

শৈলকুপা থানার পরিদর্শক শাকিল আহমেদ বলেন, ‘অভিযুক্তকে আটকের জন্য আমরা অভিযান চালাচ্ছি। এ ছাড়া ভুক্তভোগীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

Oplus_131072

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসেবে আজ ভোররাতে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার কামালপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি কর্তৃক পরিচালিত এই অভিযানে কুষ্টিয়া
দৌলতপুর থানাধীন কামালপুরের পচা বিটা এলাকার মোঃ জামাল উদ্দিনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযানের সময় বাড়ির ছাদের ওপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি অস্ত্রের বিস্তার এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতির ঝুঁকি মাথায় রেখে সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরও এর বাইরে নয়। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রটির প্রকৃতি ও উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে তদন্ত করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দেশব্যাপী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীর অভিযান আরও জোরদার করা হবে। অপরাধ দমন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়েছে।