ভারতীয় আধিপত্যবাদকে শিকড়সহ উপড়ে ফেলতে হবে: মামুনুল হক


বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদকে শিকড়সহ উপড়ে ফেলতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে আর কখনো ধর্ম নিরপেক্ষতা মতবাদ নামক কুফরি ও ভারতীয় এজেন্ডা আর বাংলাদেশে দেখতে চাই না। আমরা বৈষম্যহীন ইনসাফপূর্ণ একটা রাষ্ট্র ও সমাজ গঠন করতে চাই।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে শাপলা চত্বর ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচার, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে আলেম সমাজের অবদানের স্বীকৃতি ও খেলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুষ্টিয়া হাইস্কুল মাঠে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তিনি বলেন, ইসলামী ঐক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইসলামী রাষ্ট্রের দিকে অগ্রসর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ এবং ইসলাম এক সূত্রে গাঁথা। বাংলাদেশের শত্রু যারা ইসলামের শত্রু তারা। বাংলাদেশে ইসলাম আক্রান্ত হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করা হয় ৭২ সালের সংবিধানের মাধ্যমে। এভাবেই ৭১-এর চেতনার নামে বিগত ৫০ বছর পর্যন্ত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী বাকশালি শক্তি ৭২-এর চেতনা গেলাবার চেষ্টা করেছে। ২০২৪ সালে যেই ঐতিহাসিক বিজয় আমরা অর্জন করেছি। সেই বিজয়কে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। বৈষম্যের করব রচনা করতে হবে। সমস্ত জুলুম ও শোষণকে শেকড়সহ উপড়ে ফেলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনেও বললেন, “শেখ হাসিনা পালায় না।” এই কথা বলে তিনি তার নেতাকর্মীদের জনগণের মুখোমুখি ঠেলে দেন। তারপর পালিয়ে যান। পালিয়ে গিয়ে নিজে এবং নিজের পরিবারের আখের গুছিয়েছেন। এত বিশাল ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল লতিফ খানের সভাপতিত্বে গণসমাবেশ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শরাফত হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ কামাল উদ্দীন।
এ সময় দলের স্থানীয় ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।