মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে অস্ত্রসহ যুবক আটক

এমদাদুল হক মিলন প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম | 22 বার পড়া হয়েছে
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে অস্ত্রসহ যুবক আটক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও দু’টি ম্যাগাজিনসহ নান্টু মিয়া (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সীমান্তবর্তী চিলমারী ইউনিয়নের ক্লিকের মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চিলমারী বিওপির সদস্যরা নান্টুকে আটক করে।

আটককৃত নান্টু উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বালিদিয়ার গ্রামের মৃত আদালত প্রামাণিকের ছেলে। এ ঘটনায় পলাতক রুহুল একই ইউনিয়নের মাঝদিয়া গ্রামের হাফিজের ছেলে।

বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুনির্দিষ্ট সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান পিএসসি-এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে দৌলতপুরের চরচিলমারী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ৮৪/১-এস হতে আনুমানিক ২.৫ কি. মি. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ক্লিকের মাঠ নামক স্থানে নম্বর-৬৭২৬৯ হাবিলদার মো. এমদাদুল হকের নেতৃত্বে বিশেষ টহল দল দু’জন যাত্রীসহ আগত একটি মোটরসাইকেলকে থামার সংকেত দেয়।

এ সময় বাইকের চালক একটি পিস্তল পার্শ্ববর্তী গম ক্ষেতে ছুড়ে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিকভাবে টহল দল ঘটনাস্থল হতে মোটরসাইকেল চালক মো. নান্টু মিয়াকে আটক করে এবং পিস্তল, গুলি ও ম্যাগাজিন জব্দ করে। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে আটক নান্টুকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

মিরপুরে ৬৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩৫ পিএম
মিরপুরে ৬৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক

সারাদেশে যেখানে প্রতি কেজি গরুর মাংস প্রায় ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঠিক সেই সময়ে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে দেশী গরুর মাংস।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে মিরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সম্মুখে এ মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি করতে দেখা যায়। এছাড়ও সুলভ এ মূল্য কার্যক্রমে ৭ টাকা ৭৫ পয়সা পিস হিসেবে ডিম ও ৭০ টাকা লিটার হিসেবে গরুর দুধ বিক্রয় হচ্ছে।

মিরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা সাশ্রয় হওয়াতে লাইন ধরে মাংস কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাদের।

এব্যাপারে মিরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ কাফি বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় আমরা এ কার্যক্রম শুরু করেছি। সুযোগ পেলে কার্যক্রম আরো বাড়াতে চাই।

এব্যাপারে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌসিফুর রহমান উক্ত কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সুলভ মূল্যের এই কার্যক্রম কুষ্টিয়ার বেশ কয়েক জায়গাতে শুরু করেছি। সুলভ মূল্যের এই কার্যক্রম সাধারণ মানুষের জন্য কিভাবে বাড়ানো যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।

এসময় মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মেশকাতুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পীযুষ কুমার সাহা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারন কর্মকর্তা সজিব মিয়া, মিরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মারফত আফ্রিদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মিরপুরে বৃদ্ধ মোয়াজ্জেমকে পিটালেন সুদখোর যুবক

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৭:৩০ পিএম
মিরপুরে বৃদ্ধ মোয়াজ্জেমকে পিটালেন সুদখোর যুবক

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ৮০ বছরের বৃদ্ধ মোয়াজ্জেমকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে মিরপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড আদর্শ পাড়া জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর আমিনকে পিটিয়ে আহত করে একই এলাকার বখাটে সুদখোর কাজী রঞ্জু (৪৫)। বখাটে সুদখোর কাজী রঞ্জু ৬নং ওয়ার্ডের কাজী শহীদুল মাওলানার ছেলে।

স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, কয়েকদিন আগে অভিযুক্ত রঞ্জু মসজিদ থেকে রান্নার কাজের জন্য একটি সসপেন নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মসজিদের মোয়াজ্জেম সসপেনটি ফেরত চাইলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে অভিযুক্ত রঞ্জু। একপর্যায়ে বৃদ্ধ মোয়াজ্জেম তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে অভিযুক্ত রঞ্জু কোন রকম কথা ছাড়ায় এলোপাথাড়ি মারপিট করে গুরুত্বর আহত করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় মোয়াজ্জেমকে উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এব্যাপারে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আব্দুল আজিজ বলেন, মোয়াজ্জেমকে পিটিয়ে আহত করার খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

এব্যাপারে অভিযুক্ত রঞ্জুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

রাজধানীতে প্রতারণার ২০ মামলার আসামি কুষ্টিয়ার সেই হাফিজুর গ্রেফতার

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১:২৪ পিএম
রাজধানীতে প্রতারণার ২০ মামলার আসামি কুষ্টিয়ার সেই হাফিজুর গ্রেফতার

প্রতারণার ২০ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মীর হাফিজুর রহমানকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৩)।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সনদ বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সনদ বড়ুয়া বলেন, র‌্যাব-৩ এর একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় পল্টন থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২০টি প্রতারণা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মীর হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার পোড়াদহের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রেফতার হাফিজুর রহমান আর্থিকভাবে সচ্ছল মানুষদের লক্ষ্য করে তাদের থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে অধিক মুনাফা দেওয়ার কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেন করে আসছেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষের থেকে গ্রহণ করা অর্থের মুনাফা দিতে দেরি হলে বিভিন্ন এলাকায় পলাতক থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিভিন্ন কৌশলে সময়ক্ষেপণ করতেন। পরে গ্রাহকরা অধিক মুনাফার আশায় প্রদান করা টাকা ফেরত চাইলে আসামি নিজেকে আত্মগোপন করেন। তার এ কর্মকাণ্ডে ভুক্তভোগীরা কোনো উপায় না পেয়ে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানায় একাধিক প্রতারণা ও চেক জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন। পরে গ্রাহকরা অধিক মুনাফার আশায় প্রদান করা টাকা ফেরত চাইলে আসামি নিজেকে আত্মগোপন করেন।তার এ কর্মকাণ্ডে ভুক্তভোগীরা কোনো উপায় না পেয়ে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানায় একাধিক প্রতারণা ও চেক জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।