সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় ৭৪ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস করল বিজিবি 

আলমগীর মন্ডল প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:৫০ পিএম | 66 বার পড়া হয়েছে
কুষ্টিয়ায় ৭৪ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস করল বিজিবি 

কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত অবৈধ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে ৪৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবি। ধ্বংসকৃত মাদকের মধ্যে ফেনসিডিল, মদ, বিয়ার, হেরোইন, গাঁজা, কোকেনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য রয়েছে। ধ্বংসকৃত মাদকদ্রব্যের বাজার মূল্য প্রায় ৭৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। রোলার ও আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এসব মাদকদ্রব্য।

রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের প্রশিক্ষণ মাঠে এ মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ হতে ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ে কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর সীমান্ত থেকে এসব মাদকদ্রব্য জব্দ করে বিজিবি। এর মধ্যে রয়েছে ৯৩৬৮ বোতলবিদেশি মদ ২০ লিটার দেশি মদ ১১০০০ বোতল ফেনসিডিল ১২৭.৬৫০ কেজি গাঁজা ৮.৬৫৭ কেজি হেরোইন ৭২৪৭ পিস ইয়াবা ২২.৪৭৩ কেজি কোকেন ১৩৫০ পিস ভায়াগ্রা ১৮৬৭৪৭ সিলডিনাফিল ট্যাবলেট ৯৩০ টেপেন্টাডল ট্যাবলেট, ১২৪৫৭৭ প্যাকেট পাতার বিড়ি, ৪ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস ৫৭ বোতল এলএসডি ০.৯৮০ কেজি আফিম ৯ বোতল সাপের বিষ ৫৬৪.৫০০ কেজি কারেন্ট জাল। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭৪ কোটি ৩১ লক্ষ ১৯ হাজার ৭১০ টাকা।

মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. মারুফুল আবেদিন বিজিওএম।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহাবুব মোর্শেদ রহমান, মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিবি করিমুন্নেছা, সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী মোঃ মেশকাতুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, কুষ্টিয়া মাদকদ্রব্য কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা গন ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে কুষ্টিয়ায় নাগরিক ঐক্যের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ২:১৪ পিএম
ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে কুষ্টিয়ায় নাগরিক ঐক্যের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

মাগুরায় শিশু আছিয়ার ধর্ষণকারী হিটুসহ সারাদেশের সকল নরপশু ধর্ষকদের দ্রুত বিচারের দাবিতে কুষ্টিয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নাগরিক ঐক্যের নেতাকর্মীরা।

সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের বাটারফ্লাই মোড়ে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।

মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতা রক্তের বিনিময়ে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিদ সরকারকে বিদায় করে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি দেশের বিভিন্ন এলাকায় আমাদের মা-বোনদের ইজ্জতহানী করছে মানুষ নামে কিছু নরপশু এমনকি তাদের হাত থেকে আজ শিশুরাও নিরাপদ নয়।দেশজুড়ে নারীদের প্রতি সহিংসতা, বৈষম্য ও অত্যাচারের ঘটনা আশংকাজনহারে বেড়েই চলছে।

বক্তারা আরও বলেন, সম্প্রতি মাগুরায় শিশু আছিয়াকে ধর্ষণের ঘটনা আমাদের সমাজের জন্য লজ্জাজনক। আমাদের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি শিশু আছিয়ার ধর্ষণকারী হিটুকে অতি দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করে যেন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়। এছাড়াও সারাদেশে সকল নরপশু ধর্ষকদের দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্য কুষ্টিয়া জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক মাহামুদ হাসান বাপ্পি, জেলা নাগরিক ঐক্যের সদস্য স্বপন মাহামুদ,ইমরান আহমেদ,জুয়েল প্রামানিক, প্রিন্স মাহামুদ, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নাগরিক ঐক্যের সদস্য আজিবর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা যুব ঐক্যের সদস্য সবুজ আহমেদ।

এছাড়াও নাগরিক ঐক্যের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত-৮

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ১২:৪১ এএম
কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত-৮

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধ ছাত্র আন্দোলনের পদবঞ্চিতদের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৮জন রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় কুষ্টিয়ার আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যতম নেতা সুলতান মারুফ তালহা, আলী আহসান মুজাহিদ, আসাদুল, ইব্রাহীম, আলভী ও ইমন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসিবুর রহমান, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। রোববার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, আজ রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদবঞ্চিদের একটি অংশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বর্তমান কমিটির নেতাকর্মী এবং নাগরিক কমিটির কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কমিটিতে ছাত্রলীগ কর্মীদের পদ দেয়া হয়েছে দাবী করে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের ঈদগাহপাড়া থেকে। মিছিলটি কুষ্টিয়া কাটাইখানা মোড়স্থ সমবায় মার্কেটের সামনে পৌছলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ তাদের ধাওয়া করে। এসময় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের অন্তত ৮জন আহত হন। এরমধ্যে রক্তাক্ত জখম ৬জনকে কুষ্টিয়ার আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতেলও হামলার ঘটনা ঘটে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদবঞ্চিদের পক্ষে অবস্থান নেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্য সচিব সুজন মাহমুদ জানান, আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির লোকজন। আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছ।

এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফেসবুক লাইভে জানান, কিছু সন্ত্রাসী আমাদের কাটাইখানা মোড়ে লাইব্রেরীর সামনে এসে হুমকি ধামকি দেয় এবং পরে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ মাঠে আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে তাদেরকে কুষ্টিয়ার আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানান তিনি।

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুুপার ফয়সল মাহমুদ বলেন, সংঘর্ষের খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের কুষ্টিয়ার আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

আসামীদের দ্রুত ফাঁসি কার্যক্রর ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধ চান আবরারের মা

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ৪:১৭ পিএম
আসামীদের দ্রুত ফাঁসি কার্যক্রর ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধ চান আবরারের মা

বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্সের রায়ে সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করেছেন তার পরিবার। পূর্বের রায় বহাল রেখে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের এ রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এতে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর দেওয়া রায় ২০ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল রাখা হয়েছে।

রোববার (১৬ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায় ঘোষণায় সকাল থেকেই কুষ্টিয়ার পিটিআই রোডের বাসভবনে টেলিভিশনের সামনে বসে ছিলেন আবরারের মা রোকেয়া খাতুন, এসময় তার আত্মীয় স্বজনরা আসেন মাকে শান্তনা দিতে। রায় ঘোষনার পর আবরারের ছবি ও সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ব্যবহারিক জিনিসপত্র নিয়ে আবেক আপ্লুত হয়ে পড়েন সবাই। গণমাধ্যমে কথা বলার সময় মা রোকেয়া খাতুন বলেন, রায়ে সন্তুষ্ঠ তারা, তবে কোন কিছুতেই তো আর তার ছেলে ফিরে আসবে না। তবে একটি বিচার যে হলো সেটাতেও সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করে তিনি বলেন, এখন রায় কার্যক্ররের কোন বাধা নেই, সেই কারনে দ্রুত এ রায় কার্যক্রর চান তারা। আর পলাতক আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী তোলেন। এছাড়াও তিনি বুয়েটসহ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চান। কারণ রাজনীতি থাকলেই আবরারের মত ঘটনা ঘটবে, র‌্যাগিং থাকবে। শিক্ষা জীবন শেষ করে সব বাবা মায়ের ছেলে মেয়ে ফিরে আসার গ্যারান্টি দিতে হবে।

এসময় আবারার ফাহাদের দাদা আব্দুল গফুর বলেন, আসামীদের ফাসিঁ কার্যক্রর চান। তিনি বলেন আবরার তার খুব প্রিয় ছিল। আমার মত আর কোন দাদার অবস্থা যেন এমন না হয়।

আবরারের চাচী মমতাজ পারভিন বলেন, আবরার আর ফিরে আসবে না। আমরা মেধাবীদের সাথে এমন ঘটনা চাই না। রায়ে আমরা সন্তুষ্ঠ। তবে তখনই পুরোপুরি খুশি হব যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা আর না ঘটে।

আবরারের আরেক চাচী লথিফুন নাহার বলেন, আবরার আমাদের গর্ব ছিল। খুব নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই সরকারের প্রতি ধন্যবাদ তারা আসামীদের ফাসিঁ দ্রুত কার্যক্রর করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদন্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মৃত্যুন্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়, যেটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়।

২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে ওঠে। সেদিন আদালত তা শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। গত বছরের ২৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত ) উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুর“ করে। এরপর পেপারবুক থেকে উপস্থাপনের মাধ্যমে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় শুনানি হয়। সেদিন থেকে মধ্যে একদিন ছাড়া প্রতি কার্যদিবসে শুনানি হয়। সর্বশেষ গত ২৪ ফেব্রæয়ারি শুনানি নিয়ে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।