বিএসটিআই কর্মকর্তাদের মাসোহারা দিয়ে চলে ব্যবসা
মৌবনের ভেজাল মসলা কুষ্টিয়ায় ছড়াছড়ি


মৌবনের ভেজাল মসলা কুষ্টিয়ায় ছড়াছড়ি
কুষ্টিয়ায় মৌবনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান মৌ মার্ট বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ভেজাল মসলার রমরমা বাণিজ্য। বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্যাদি ও গুণগতমান বজরায় না রেখে তৈরি এসব ভেজাল মসলা। যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক ধানের তুষ,কাঠের গুঁড়া,
কেমিক্যাল পাউডার সহ বিভিন্ন রং ও ব্যবহার করা হচ্ছে।আর এসব জেনেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ।
তবে অভিযোগ রয়েছে, বিএসটিআই কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কর্তাব্যক্তিদের মাসিকচুক্তিতে মাসোহারা দিয়ে ম্যানেজ করে নির্বিঘ্নে এ কারবার চালিয়ে যাচ্ছে মৌ মার্ট ভেজাল মসলা প্রতিষ্ঠানটি। এতেই ভেজাল মসলা সয়লাব হয়ে যাচ্ছে কুষ্টিয়া শহর ও গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারের দোকান গুলোতে।
মসলা ক্রেতা ইমরান হোসেন বলেন, অনুমোদন ছাড়াই মৌ মার্ট দীর্ঘদিন ধরে
ভুষি,কাঠের গুঁড়া ও রঙ মিশিয়ে তৈরি করছে মশলা। এগুলো আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকারক। তবুও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না সংশ্লিষ্টরা। এতেই বোঝা যায় দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের মাসোহারা দিয়ে চলছে এ ব্যবসা।
তাই দ্রুত ভেজাল মসলা বন্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
ক্রেতা নাজমুল বলেন, ভালো মন্দ না বুঝেই নিন্মমানের মসলা কিনছি। ভালো খারাপ চেনার কোনো উপায় নেই। তাই বাজারে যা পাচ্ছি তাই কিনে নিচ্ছি। তাই ভেজাল মসলা বন্ধে প্রশাসন জোরালো পদক্ষেপ নিবে বলে আশা করছি।
এ বিষয়ে মৌবনের স্বত্বাধিকারীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইলফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে বিএসটিআই কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক প্রদীপ কুমার মালো বলেন, আমি ঢাকায় মিটিং এ আছি। এ বিষয়ে পরে কথা হবে।