সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১

পুলিশ কাউকে এরেস্ট করতে হলে আমাদের কাছে অনুমতি নিতে হবে

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫, ১২:২৭ পিএম | 89 বার পড়া হয়েছে
পুলিশ কাউকে এরেস্ট করতে হলে আমাদের কাছে অনুমতি নিতে হবে
পুলিশ কাউকে এরেস্ট করতে হলে আমাদের কাছে অনুমতি নিয়ে করতে হবে বক্তব্য দিয়ে ভাইরাল হয়েছেন বিএনপি নেতার ভাই ও এক সরকারী কর্মকর্তা।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ১মিনিট ২২ সেকেন্ডের একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে জেলা জুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।

ভাইরাল সেই বিএনপি নেতার ভাই ও সরকারী কর্মকর্তার নাম শেখ রাসেল।

তিনি কুমারখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, পান্টি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ রেজাউল করিম মিলনের ভাই এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের উপ-পরিচালক। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহে কর্মরত আছেন।

ভাইরাল সেই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, কে কি করেছে, কে আওয়ামী লীগ করেছে, সেটা বিষয় না। সবাই আমাদের মানুষ। সবাই চৌরঙ্গীর মানুষ। এদেরকে পুলিশ এরেস্ট করতে হলে আমাদের কাছে অনুমতি নিয়ে করতে হবে। এর বাইরে যদি একটা মানুষকেও গ্রেপ্তার করা হয়, আমরা সবাই মিলে থানা ঘেরাও করবো। কিডা কোন দল করেছে এটা দেখার বিষয় না।

জানা যায় , কুমারখালী উপজেলার চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সন্ধায় সমাপণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এবিষয়ে শেখ রাসেল বলেন, বক্তব্যটার মাধ্যমে আমি বুঝাতে চেয়েছি, কোনো নিরাপরাদ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়। তারপরেও যদি অন্যকিছু বলে থাকি তা হলো স্লিপ অবটাং।

কুমারখালী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. লুৎফর রহমান, এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানায়। এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া ঠিক হয়নি। বিএনপি তা সমর্থন করে না।

কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, এমন বক্তব্য সমীচীন নয়। পুলিশ কারো কথা মতো চলবে না। পুলিশ তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত-৮

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ১২:৪১ এএম
কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত-৮

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধ ছাত্র আন্দোলনের পদবঞ্চিতদের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৮জন রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় কুষ্টিয়ার আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যতম নেতা সুলতান মারুফ তালহা, আলী আহসান মুজাহিদ, আসাদুল, ইব্রাহীম, আলভী ও ইমন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসিবুর রহমান, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। রোববার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, আজ রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদবঞ্চিদের একটি অংশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বর্তমান কমিটির নেতাকর্মী এবং নাগরিক কমিটির কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কমিটিতে ছাত্রলীগ কর্মীদের পদ দেয়া হয়েছে দাবী করে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের ঈদগাহপাড়া থেকে। মিছিলটি কুষ্টিয়া কাটাইখানা মোড়স্থ সমবায় মার্কেটের সামনে পৌছলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ তাদের ধাওয়া করে। এসময় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের অন্তত ৮জন আহত হন। এরমধ্যে রক্তাক্ত জখম ৬জনকে কুষ্টিয়ার আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতেলও হামলার ঘটনা ঘটে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদবঞ্চিদের পক্ষে অবস্থান নেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্য সচিব সুজন মাহমুদ জানান, আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির লোকজন। আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছ।

এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফেসবুক লাইভে জানান, কিছু সন্ত্রাসী আমাদের কাটাইখানা মোড়ে লাইব্রেরীর সামনে এসে হুমকি ধামকি দেয় এবং পরে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ মাঠে আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে তাদেরকে কুষ্টিয়ার আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানান তিনি।

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুুপার ফয়সল মাহমুদ বলেন, সংঘর্ষের খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের কুষ্টিয়ার আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

আসামীদের দ্রুত ফাঁসি কার্যক্রর ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধ চান আবরারের মা

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ৪:১৭ পিএম
আসামীদের দ্রুত ফাঁসি কার্যক্রর ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধ চান আবরারের মা

বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্সের রায়ে সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করেছেন তার পরিবার। পূর্বের রায় বহাল রেখে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের এ রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এতে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর দেওয়া রায় ২০ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল রাখা হয়েছে।

রোববার (১৬ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায় ঘোষণায় সকাল থেকেই কুষ্টিয়ার পিটিআই রোডের বাসভবনে টেলিভিশনের সামনে বসে ছিলেন আবরারের মা রোকেয়া খাতুন, এসময় তার আত্মীয় স্বজনরা আসেন মাকে শান্তনা দিতে। রায় ঘোষনার পর আবরারের ছবি ও সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ব্যবহারিক জিনিসপত্র নিয়ে আবেক আপ্লুত হয়ে পড়েন সবাই। গণমাধ্যমে কথা বলার সময় মা রোকেয়া খাতুন বলেন, রায়ে সন্তুষ্ঠ তারা, তবে কোন কিছুতেই তো আর তার ছেলে ফিরে আসবে না। তবে একটি বিচার যে হলো সেটাতেও সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করে তিনি বলেন, এখন রায় কার্যক্ররের কোন বাধা নেই, সেই কারনে দ্রুত এ রায় কার্যক্রর চান তারা। আর পলাতক আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী তোলেন। এছাড়াও তিনি বুয়েটসহ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চান। কারণ রাজনীতি থাকলেই আবরারের মত ঘটনা ঘটবে, র‌্যাগিং থাকবে। শিক্ষা জীবন শেষ করে সব বাবা মায়ের ছেলে মেয়ে ফিরে আসার গ্যারান্টি দিতে হবে।

এসময় আবারার ফাহাদের দাদা আব্দুল গফুর বলেন, আসামীদের ফাসিঁ কার্যক্রর চান। তিনি বলেন আবরার তার খুব প্রিয় ছিল। আমার মত আর কোন দাদার অবস্থা যেন এমন না হয়।

আবরারের চাচী মমতাজ পারভিন বলেন, আবরার আর ফিরে আসবে না। আমরা মেধাবীদের সাথে এমন ঘটনা চাই না। রায়ে আমরা সন্তুষ্ঠ। তবে তখনই পুরোপুরি খুশি হব যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা আর না ঘটে।

আবরারের আরেক চাচী লথিফুন নাহার বলেন, আবরার আমাদের গর্ব ছিল। খুব নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই সরকারের প্রতি ধন্যবাদ তারা আসামীদের ফাসিঁ দ্রুত কার্যক্রর করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদন্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মৃত্যুন্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়, যেটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়।

২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে ওঠে। সেদিন আদালত তা শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। গত বছরের ২৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত ) উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুর“ করে। এরপর পেপারবুক থেকে উপস্থাপনের মাধ্যমে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় শুনানি হয়। সেদিন থেকে মধ্যে একদিন ছাড়া প্রতি কার্যদিবসে শুনানি হয়। সর্বশেষ গত ২৪ ফেব্রæয়ারি শুনানি নিয়ে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

কুষ্টিয়ায় ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা,যুবক আটক

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম
কুষ্টিয়ায় ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা,যুবক আটক

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জসিম উদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের ক্যানেলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে বাড়ির পাশের বাগানে খেলা করছিল শিশুটি। এ সময় একই এলাকার জসিম নামে এক যুবক শিশুটিকে ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী তামাকক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেলে জসিমকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশকে খরব দেয়। পরে পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন,অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।