শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩১ ফাল্গুন ১৪৩১
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩১ ফাল্গুন ১৪৩১

২০২৭ থেকে ২৯ সালের মধ্যে বিজেপির ক্ষমতা শেষ : মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:০৮ পিএম | 26 বার পড়া হয়েছে
২০২৭ থেকে ২৯ সালের মধ্যে বিজেপির ক্ষমতা শেষ : মমতা

২০২৭ থেকে ২৯ সালের মধ্যে বিজেপির ক্ষমতা শেষ : মমতা

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আয়ু আর ২-৩ বছর আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মতে, ২০২৭ থেকে ২৯ সালের মধ্যে বিজেপির ক্ষমতা শেষ। ২০২৬ সালে আবার খেলা হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

এছাড়া আগামী বিধানসভা ভোটে দুই শতাধিক আসন পেতেই হবে বলেও দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ এই নেত্রী। ভারতের এই রাজ্যটির পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন আগামী বছর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ভারতের কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দলের মহাসমাবেশ ডেকেছেন তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১১টায় সেই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন অনেকেই।

অনেকের মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনের সর্বস্তরে ‘ঝাঁকুনি’ দিতে চান মমতা। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, “আগামী বিধানসভা ভোটে ২১৫টা আসন পেতেই হবে। অভিষেক ঠিকই বলেছে। আসন আরও বেশি পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ২১৫টা আসনের কম কোনও মতেই নয়। এবার বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের জামানত জব্দ করার পালা।”

এদিন তৃণমূলের সভা থেকে বিজেপির কঠোর সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের বদনাম করার জন্য বিজেপি বারবার এজেন্সি পাঠাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। মমতা বলেছেন, “নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, এজেন্সির তৎপরতাও ততই বাড়বে। সব মিডিয়াকে কন্ট্রোল করে। সবাইকে ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়। ইলেকশন এলেই মনে পড়ে তৃণমূলের চার্জশিট দিতে হবে। তৃণমূলের কাকে কাকে চোর বলা হবে। কাকে কাকে জেলে ঢোকানো হবে।”

এছাড়া বিজেপির আয়ু নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার দাবি, “২০২৭-২৯ সালের মধ্যে বিজেপির ক্ষমতা শেষ। আর ২-৩ বছর আয়ু আছে। তারপরে আর নেই। এর মধ্যেই ওরা বাংলাকে টার্গেট করবে।”

মমতার দাবি, বাংলায় এজেন্সি পাঠিয়ে ভোটার তালিকায় কারচুপি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। পাঞ্জাব-হরিয়ানার বহু লোকের নাম বাংলার ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। দিল্লি থেকে এ সব করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদেই এ সব করা হচ্ছে।

কর্মীদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, ভোটার তালিকা পরিষ্কার করতে হবে। তার কথায়, “২০২৬ সালে আবার খেলা হবে। সেই কাজটা শুরু হবে ভোটার তালিকা পরিষ্কার করার মধ্যে দিয়ে। জেলা সভাপতিদের বলব, বুথ কর্মীদের মাঠে নামান। প্রয়োজনে নির্বাচনের কমিশনের দপ্তরে ধর্না দেব।”

মমতা বলেন, “ভোটার লিস্ট ক্লিন করতে হবে। তা না হলে ইলেকশনের কোনও প্রয়োজন থাকবে না। ভয় পাবেন না। একটা এজেন্সিকে দিয়ে অনলাইনে এ সব করানো হয়েছে। বাংলার লোক যাতে ভোট দিতে না পারে, তাই একই এপিক কার্ডে বাইরের লোকের নাম তুলেছে। তার মানে বাংলার লোক যখন ভোট দিতে যাবে, বাইরের ভোটারের নামে চলে যাবে। মুর্শিদাবাদের ভোটারগুলোকে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিয়ে আসবে। মুর্শিদাবাদের নেতারা সতর্ক থাকুন।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, “মহারাষ্ট্র-দিল্লিতে ওরা বিজেপির খেলা ধরতে পারেনি। বাংলায় আমরা ধরব। যোগ্য জবাব দেব। ২০২৭ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে বিজেপি শেষ হয়ে যাবে। বিজেপির আয়ু ২-৩ বছর।”

কুষ্টিয়ায় একা বাড়িতে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

মেজবা উদ্দিন পলাশ প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১:০৭ এএম
কুষ্টিয়ায় একা বাড়িতে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথরাপুর বড়বাজার আশ্রয় প্রকল্প এলাকায় এক চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তারই এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় ৫৫ বছর বয়সী সাহাজুল ফকির নামের ওই বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত পহেলা মার্চ দুপুরে ওই শিশুটি তার বাড়িতে একা ছিল। এ সময় একই গ্রামের সাহাজুল ফকির শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে তার মা ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তকে দেখে ফেলেন। পরে সেখান থেকে সাহাজুল দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কয়েকদিন ধরেই এলাকাজুড়ে নানা গুঞ্জন চলছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হলেও শিশুটির বাবা তা আপস করতে রাজি হননি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির বাবা ও অভিযুক্ত সাহাজুলকে থানায় নিয়ে আসে। পরে শিশুটির বাবা রাতেই থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত সাহাজুল ফকিরকে গ্রেপ্তার করে এবং শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান,অভিযুক্ত সাহাজুল পেশায় রাজমিস্ত্রি। শিশুর বাড়ির পাশে মেছের ফকিরের আস্তানায় নিয়মিত গাঁজা সেবন করতে যায়। গেল কয়েকদিন ধরে মেছের ফকির বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, “অভিযুক্ত সাহাজুল ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ওই শিশুটি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

শৈলকুপায় গলায় ছুরি ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

মো:মিজানুর রহমান(বিশেষ প্রতিনিধি) প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ৫:৩৩ পিএম
শৈলকুপায় গলায় ছুরি ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, গত ৩ মার্চ দেবতলা গ্রামের আহতাফ কাজীর ছেলে রিপন কাজী তার মেয়েকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এর কয়েক দিন পর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

তখন সে বাসায় ঘটনাটি খুলে বলে। সে জানায়, এর আগেও রিপন তাকে একইভাবে কয়েকবার ধর্ষণ করেছে। তখন এ কথা কাউকে না বলতে তাকে গলায় ছুরি ধরে ভয়ভীতি দেখানো হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লোকলজ্জার ভয়ে তাকে কুষ্টিয়ায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাই।

পরে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে আমরা থানা-পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’

শৈলকুপা থানার পরিদর্শক শাকিল আহমেদ বলেন, ‘অভিযুক্তকে আটকের জন্য আমরা অভিযান চালাচ্ছি। এ ছাড়া ভুক্তভোগীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

Oplus_131072

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসেবে আজ ভোররাতে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার কামালপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি কর্তৃক পরিচালিত এই অভিযানে কুষ্টিয়া
দৌলতপুর থানাধীন কামালপুরের পচা বিটা এলাকার মোঃ জামাল উদ্দিনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযানের সময় বাড়ির ছাদের ওপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি অস্ত্রের বিস্তার এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতির ঝুঁকি মাথায় রেখে সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরও এর বাইরে নয়। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রটির প্রকৃতি ও উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে তদন্ত করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দেশব্যাপী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীর অভিযান আরও জোরদার করা হবে। অপরাধ দমন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়েছে।