সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় কাচ্চি ভাই সহ অবৈধ রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশ

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:২০ পিএম | 93 বার পড়া হয়েছে
কুষ্টিয়ায় কাচ্চি ভাই সহ অবৈধ রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশ

বাজার পরিস্থিতি ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমানকাচ্চি ভাই সহ সকল অবৈধ রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশ দেন।ক্যাবের প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান ভিজার এক প্রশ্নের জবাবে এমন নির্দেশনা দেন তিনি।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়া কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার আয়োজনে উক্ত মতবিনিময় সভায় তিনি এই নির্দেশনা প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান আরও বলেন, বিক্রেতাদের পাশাপাশি ক্রেতাদেরো সচেতন হতে হবে। আমরা দেখছি খাবারে মাছি বসছে অথবা যে ফল এখন পরিপক্ক হয়নি সেই ফল বাচ্চাদের খুশি করার জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছি। পরে আবার প্রশাসনকে দোষারোপ করছি। যারা ভোক্তাদের ঠকান তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। একজন অফিসার দিয়ে জেলার সকল ভোক্তাদের সেবা দেওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। আমাদের সদিচ্ছা আছে, কিন্তু সক্ষমতার ঘাটতি আছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক মাসুম আলী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া জেলা কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাবের) সভাপতি নাফিজ আহমেদ খান টিটু, সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম রিন্টুসহ বিভিন্ন বাজারে সভাপতি ও সম্পাদক এবং ক্যাবের সদস্যবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি অবৈধভাবে পরিচালিত কাচ্চি ভাই ১০ কর্মদিবসের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ প্রদান করে নোটিশ দেন পৌর প্রশাসক।

আসামীদের দ্রুত ফাঁসি কার্যক্রর ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধ চান আবরারের মা

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ৪:১৭ পিএম
আসামীদের দ্রুত ফাঁসি কার্যক্রর ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধ চান আবরারের মা

বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্সের রায়ে সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করেছেন তার পরিবার। পূর্বের রায় বহাল রেখে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের এ রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এতে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর দেওয়া রায় ২০ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল রাখা হয়েছে।

রোববার (১৬ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায় ঘোষণায় সকাল থেকেই কুষ্টিয়ার পিটিআই রোডের বাসভবনে টেলিভিশনের সামনে বসে ছিলেন আবরারের মা রোকেয়া খাতুন, এসময় তার আত্মীয় স্বজনরা আসেন মাকে শান্তনা দিতে। রায় ঘোষনার পর আবরারের ছবি ও সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ব্যবহারিক জিনিসপত্র নিয়ে আবেক আপ্লুত হয়ে পড়েন সবাই। গণমাধ্যমে কথা বলার সময় মা রোকেয়া খাতুন বলেন, রায়ে সন্তুষ্ঠ তারা, তবে কোন কিছুতেই তো আর তার ছেলে ফিরে আসবে না। তবে একটি বিচার যে হলো সেটাতেও সন্তুষ্ঠি প্রকাশ করে তিনি বলেন, এখন রায় কার্যক্ররের কোন বাধা নেই, সেই কারনে দ্রুত এ রায় কার্যক্রর চান তারা। আর পলাতক আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী তোলেন। এছাড়াও তিনি বুয়েটসহ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চান। কারণ রাজনীতি থাকলেই আবরারের মত ঘটনা ঘটবে, র‌্যাগিং থাকবে। শিক্ষা জীবন শেষ করে সব বাবা মায়ের ছেলে মেয়ে ফিরে আসার গ্যারান্টি দিতে হবে।

এসময় আবারার ফাহাদের দাদা আব্দুল গফুর বলেন, আসামীদের ফাসিঁ কার্যক্রর চান। তিনি বলেন আবরার তার খুব প্রিয় ছিল। আমার মত আর কোন দাদার অবস্থা যেন এমন না হয়।

আবরারের চাচী মমতাজ পারভিন বলেন, আবরার আর ফিরে আসবে না। আমরা মেধাবীদের সাথে এমন ঘটনা চাই না। রায়ে আমরা সন্তুষ্ঠ। তবে তখনই পুরোপুরি খুশি হব যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা আর না ঘটে।

আবরারের আরেক চাচী লথিফুন নাহার বলেন, আবরার আমাদের গর্ব ছিল। খুব নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই সরকারের প্রতি ধন্যবাদ তারা আসামীদের ফাসিঁ দ্রুত কার্যক্রর করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদন্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মৃত্যুন্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়, যেটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়।

২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে ওঠে। সেদিন আদালত তা শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। গত বছরের ২৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত ) উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুর“ করে। এরপর পেপারবুক থেকে উপস্থাপনের মাধ্যমে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় শুনানি হয়। সেদিন থেকে মধ্যে একদিন ছাড়া প্রতি কার্যদিবসে শুনানি হয়। সর্বশেষ গত ২৪ ফেব্রæয়ারি শুনানি নিয়ে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

কুষ্টিয়ায় ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা,যুবক আটক

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম
কুষ্টিয়ায় ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা,যুবক আটক

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জসিম উদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের ক্যানেলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে বাড়ির পাশের বাগানে খেলা করছিল শিশুটি। এ সময় একই এলাকার জসিম নামে এক যুবক শিশুটিকে ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী তামাকক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেলে জসিমকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশকে খরব দেয়। পরে পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন,অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

৯০ দিনের মধ্যেই ধর্ষণের বিচার হতে হবে: জামায়াতের আমির

মো:মিজানুর রহমান((বিশেষ প্রতিনিধি) প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ৯:০৭ পিএম
৯০ দিনের মধ্যেই ধর্ষণের বিচার হতে হবে: জামায়াতের আমির

বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর আমীর ডা.শফিকুর রহমান বলেছেন আমরা এসেছি আছিয়ার মা বাবা কে সহানুভূতি জানাতে। এ পরিবারের দোয়া নিতে।আর এসেছি বুজতে কিভাবে এ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো যায়। আমরা চাই এ মেয়েটির বিচার কার্য  এবং রায় দ্রুত কার্য্যকর দেখতে। তাতে এ পরিবার খুব খুশি  এবং বাংলাদেশের মানুষ ও খুশি হবে।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে  আছিয়ার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হেলিকপ্টারে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার  সব্দালপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নামেন জামায়াতে আমীর। তাকে দেখতে মাঠের চারপাশে শত শত মানুষের ঢ্ল নামে।

সেখান থেকে সোনাইকুন্ডী গোরস্থানে আছিয়ার   কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এর পর সোনাইকুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জামায়াতে ইসলামীর মাগুরা জেলা শাখার আয়োজনে শিশু আছিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন,  আছিয়ার ঘটনায় মামলার বিচারে যে ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে, সেটা আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু সতর্ক করে দিতে চাই, এটা ৯১ দিন হলে আমরা মানব না। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না করলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনায় আগে বিচার তেমন হয়নি। ধর্ষণের বিচারে আগে কয়েকটি ফাঁসি হলেও বেশির ভাগ দোষী ছাড়া পেয়ে গেছে।ধর্ষণের বিচার একমাত্র ফাঁসি।

ডা.শফিকুর রহমান বলেন,সাত দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার জন্য অনেকে বলছেন। আমরা তাতে একমত নই। কারণ মামলার কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। সেটা সঠিক বিচার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেয়। যে জন্য ৯০ দিনই ঠিক আছে।

এরপর জামায়াতে আমীর জারিয়া গ্রামে  আছিয়ার  বাড়িতে  পরিবারের সদস্যদের দেখতে যান। যদিও তখন আছিয়ার মা বাড়িতে ছিলেন না।

তবে আছিয়ার খালা ধোলায় বেগম রোকেয়ার সাথে একান্তভাবে সাক্ষাৎ করেন এবং  পরিবার টা যেন ভালোভাবে চলে সেরকম একটা ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন পরিবাটিকে।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তারেক, জামায়াতের যশোর – কুষ্টিয়া অঞ্চলের অঞ্চল পরিচালক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য  মোবারক হুসাইন, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক এম.বি বাকেরসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

বেলা ১২ টার দিকে তিনি সব্দালপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।