শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩১ ফাল্গুন ১৪৩১
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩১ ফাল্গুন ১৪৩১

আরও ছয় জিম্মিকে ফেরত দেবে গাজা, প্রস্তুত ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম | 6 বার পড়া হয়েছে
আরও ছয় জিম্মিকে ফেরত দেবে গাজা, প্রস্তুত ইসরায়েল

আরও ছয় জিম্মিকে ফেরত দেবে গাজা, প্রস্তুত ইসরায়েল

ইসরায়েল শনিবার গাজা থেকে আরও ছয়জন জিম্মিকে গ্রহণের প্রস্তুতি নিয়েছে। এর আগে গতকাল দেশটি অভিযোগ করেছে, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হামাস যে চার জিম্মির মরদেহ ফেরত পাঠিয়েছে, তাদের একজনের সঙ্গে কোনো জিম্মির মিল পাওয়া যায়নি। আর এ ঘটনায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে জটিলতা বেড়েছে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কর্মকর্তাদের মতে, গত মাসে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তানুসারে প্রথম ধাপে ৩৩ জন জীবিত জিম্মিকে হস্তান্তর করার কথা ছিল। এরই মধ্যে বেশির ভাগ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি ছয় জীবিত জিম্মিকে আজ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটার দিকে হস্তান্তর করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ওই ছয় জিম্মির মধ্যে এলিয়া কোহেন (২৭), তাল শোহাম (৪০), ওমরশেম তোভ (২২) ও ওমর ওয়েনকার্টকে (২৩) ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সময় গাজায় ধরে নিয়ে যান হামাসের সদস্যরা। আর হিশাম আল-সায়েদ (৩৬) ও আভেরা মেঙ্গিস্তু (৩৯) প্রায় এক দশক আগে পৃথকভাবে গাজায় প্রবেশ করার পর হামাসের হাতে আটক হয়েছিলেন।

ওই ছয় জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে আটক ৬০২ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের এই বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়া সর্বশেষ পর্যায়ে রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হলেও এটি শেষ হতে যাচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলে কেফির বিবাস ও এরিয়েলের সঙ্গে তাঁদের মা জিম্মি শিরি বিবাসের মরদেহ ফেরত পাঠানোর কথা ছিল হামাসের। কেফির ও এরিয়েলের মরদেহ শনাক্ত করা গেলেও শিরির মরদেহের স্থলে অজ্ঞাতনামা একটি মরদেহ শনাক্ত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। অজ্ঞাতনামা মরদেহ হস্তান্তরের মাধ্যমে হামাস যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।

তবে হামাস জানিয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত শিরি ও তাঁর দুই ছেলের মরদেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারের পর শিরির দেহ অন্য মরদেহের সঙ্গে মিশে গেছে বলে মনে হচ্ছে। শুক্রবার দলটি আরেকটি মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে। ইসরায়েলি ফরেনসিক কর্মকর্তারা পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য তদন্তের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

কুষ্টিয়ায় একা বাড়িতে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

মেজবা উদ্দিন পলাশ প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১:০৭ এএম
কুষ্টিয়ায় একা বাড়িতে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথরাপুর বড়বাজার আশ্রয় প্রকল্প এলাকায় এক চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তারই এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় ৫৫ বছর বয়সী সাহাজুল ফকির নামের ওই বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত পহেলা মার্চ দুপুরে ওই শিশুটি তার বাড়িতে একা ছিল। এ সময় একই গ্রামের সাহাজুল ফকির শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে তার মা ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তকে দেখে ফেলেন। পরে সেখান থেকে সাহাজুল দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কয়েকদিন ধরেই এলাকাজুড়ে নানা গুঞ্জন চলছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হলেও শিশুটির বাবা তা আপস করতে রাজি হননি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির বাবা ও অভিযুক্ত সাহাজুলকে থানায় নিয়ে আসে। পরে শিশুটির বাবা রাতেই থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত সাহাজুল ফকিরকে গ্রেপ্তার করে এবং শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান,অভিযুক্ত সাহাজুল পেশায় রাজমিস্ত্রি। শিশুর বাড়ির পাশে মেছের ফকিরের আস্তানায় নিয়মিত গাঁজা সেবন করতে যায়। গেল কয়েকদিন ধরে মেছের ফকির বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, “অভিযুক্ত সাহাজুল ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ওই শিশুটি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

শৈলকুপায় গলায় ছুরি ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

মো:মিজানুর রহমান(বিশেষ প্রতিনিধি) প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ৫:৩৩ পিএম
শৈলকুপায় গলায় ছুরি ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, গত ৩ মার্চ দেবতলা গ্রামের আহতাফ কাজীর ছেলে রিপন কাজী তার মেয়েকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এর কয়েক দিন পর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

তখন সে বাসায় ঘটনাটি খুলে বলে। সে জানায়, এর আগেও রিপন তাকে একইভাবে কয়েকবার ধর্ষণ করেছে। তখন এ কথা কাউকে না বলতে তাকে গলায় ছুরি ধরে ভয়ভীতি দেখানো হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লোকলজ্জার ভয়ে তাকে কুষ্টিয়ায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাই।

পরে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে আমরা থানা-পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’

শৈলকুপা থানার পরিদর্শক শাকিল আহমেদ বলেন, ‘অভিযুক্তকে আটকের জন্য আমরা অভিযান চালাচ্ছি। এ ছাড়া ভুক্তভোগীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

Oplus_131072

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসেবে আজ ভোররাতে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার কামালপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি কর্তৃক পরিচালিত এই অভিযানে কুষ্টিয়া
দৌলতপুর থানাধীন কামালপুরের পচা বিটা এলাকার মোঃ জামাল উদ্দিনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযানের সময় বাড়ির ছাদের ওপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি অস্ত্রের বিস্তার এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতির ঝুঁকি মাথায় রেখে সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরও এর বাইরে নয়। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রটির প্রকৃতি ও উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে তদন্ত করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দেশব্যাপী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীর অভিযান আরও জোরদার করা হবে। অপরাধ দমন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়েছে।