ভারতে বসে কুষ্টিয়া জেলাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা বাবু অজয় সুরেখার


ভারতে বসে কুষ্টিয়া জেলাকে অস্থিতিশীল কারার চেষ্টা বাবু অজয় সুরেখার
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর এজেন্ট হিসাবে পরিচিত ক্ষমতচ্যুত আওয়ামী লীগের কুষ্টিয়া জেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ বাবু অজয় সুরেখা ভারতে বসে অস্থিতিশীল করেছে কুষ্টিয়ার পরিবেশ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা অজয় সুরেখার ভারতের বাড়িতে অবস্থান করছে বলে একাধিন সূত্র জানিয়েছে।
ভারতের বাড়িতে বসেই কুষ্টিয়ায় জেলাকে অস্থিতিশীল কারার জন্য বিভিন্ন সময় নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে এবং অর্থ জোগান দিয়ে আসছে অজয় সুরেখা।
সাবেক এমপি হানিফকে গাড়ি সহ তার ছোট ভাই আতাকে একাধিক জমি কিনে দিয়ে এবং অর্থনিতিক ভাবে তাদের সহযোগিতার পাশাপাশি নিজের আখের গোছাতে ব্যাস্ত ছিলেন অজয় সুরেখা।
অজয় সুরেখার ভারতের বাড়ি আগওয়ালে।
ডায়মন্ড ওয়াল্ডের মালিক সদ্য গ্রেপ্তার হওয়া দিলিপ আগারওয়ালের পূর্ব পুরুষ তার দাদাদের সাথে বাংলাদেশে চুয়াডাঙ্গায় আসেন আগোওয়াল ও সুরেখা পরিবার। তার চুয়াডাঙ্গায় গদি ঘর নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। কুলি-মুঠিমুজুর থেকে শুরু এমন কোন কাজ নেই যে তার করে নাই। অজয় সুরেখার বাবা চাচারা চুয়াডাঙ্গায় থেকে চলে যান মেহেরপুরে, এখনো অজয় সুরেখা মেহেরপুরের শেষ্ট করদাতা হিসাবে নির্বাচিত হন। এর পরে অজয় সুরেখার বাবা আসেন কুষ্টিয়ায়। শহরের রাজারহাট মোড়ে একটি পুড়োনো বাড়ি রয়েছে তাদের। এই বাড়ি থেকেই তারা সকল ব্যবসা পরিচালনা করেন। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সব কয়টির মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির ডিলার সহ এমন কোন ব্যবসা নেই যাতে হস্তক্ষেপ নেয়নি অজয় সুরেখা। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গোপন করে ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছে অজয় সুরেখা ও তার পরিবার। হোন্ডির মাধ্যমে কুষ্টিয়া থেকে ভারতে যাওয়া শত হাজার হাজার কোটি টাকা অজয় সুরেখার মাধ্যমে পাচার হয়।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে তার সম্পর্ক এতোটাই ভালো যে তার কথা মতো কুষ্টিয়া ভিশা সেন্টার চালু করে ভারত।
৫ই আগষ্ট কেন্দ্রিক একাধিক মামলা হলেও তার টিকে ছুতে পারেনি প্রশাসন। রমেশ সুরেখা সহ তার পরিবারের অনান্য সদস্যরা ভারতে অবস্থান করছেন।
মাহবুবুল আলম হানিফের আস্তাভাজন হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের কোষাদক্ষ পদ বাগিয়ে নিয়ে অজয় সুরেখা। পদ পাওয়ার পর কুষ্টিয়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্কের আর এক নাম বনে যান তিনি। নিয়ন্ত্রন নেয় সরকারি সারের ডিলার।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানাযায়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা কুষ্টিয়াতে আসলে তাদের মনোরঞ্জনের জন্য নারী , মদ সহ নানা আয়োজনের দায়িত্ব অজয় সুরেখারই থাকতো।
বর্তমানে অজয় সুরেখা ভারতে থাকলেও তার ব্যবসা কোন এক অদৃশ্য শক্তি চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই ব্যবসার অর্থ দিয়েই চলছে কুষ্টিয়া জেলাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা।
কুষ্টিয়ার জেলা বিএনপির একাধিক নেতার সাথে কথা বললে তারা বলেন ,অজয় সুরেখা আমাদের কুষ্টিয়ায় থেকে ব্যবসা করে তার আয়কৃত অর্থ দিয়ে আমাদেরকেই ধংস করছে। দ্রুত তাকে বিচারের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। পাশাপাশি তার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের জোর দাবি জানান।