শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩১ ফাল্গুন ১৪৩১
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩১ ফাল্গুন ১৪৩১

ভারতে বসে কুষ্টিয়া জেলাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা বাবু অজয় সুরেখার

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:২৬ পিএম | 185 বার পড়া হয়েছে
ভারতে বসে কুষ্টিয়া জেলাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা বাবু অজয় সুরেখার

ভারতে বসে কুষ্টিয়া জেলাকে অস্থিতিশীল কারার চেষ্টা বাবু অজয় সুরেখার

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর এজেন্ট হিসাবে পরিচিত ক্ষমতচ্যুত আওয়ামী লীগের কুষ্টিয়া জেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ বাবু অজয় সুরেখা ভারতে বসে অস্থিতিশীল করেছে কুষ্টিয়ার পরিবেশ।

বাংলাদেশের বিভিন্ন এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা অজয় সুরেখার ভারতের বাড়িতে অবস্থান করছে বলে একাধিন সূত্র জানিয়েছে।

ভারতের বাড়িতে বসেই কুষ্টিয়ায় জেলাকে অস্থিতিশীল কারার জন্য বিভিন্ন সময় নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে এবং অর্থ জোগান দিয়ে আসছে অজয় সুরেখা।

সাবেক এমপি হানিফকে গাড়ি সহ তার ছোট ভাই আতাকে একাধিক জমি কিনে দিয়ে এবং অর্থনিতিক ভাবে তাদের সহযোগিতার পাশাপাশি নিজের আখের গোছাতে ব্যাস্ত ছিলেন অজয় সুরেখা।

অজয় সুরেখার ভারতের বাড়ি আগওয়ালে।

ডায়মন্ড ওয়াল্ডের মালিক সদ্য গ্রেপ্তার হওয়া দিলিপ আগারওয়ালের পূর্ব পুরুষ তার দাদাদের সাথে বাংলাদেশে চুয়াডাঙ্গায় আসেন আগোওয়াল ও সুরেখা পরিবার। তার চুয়াডাঙ্গায় গদি ঘর নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। কুলি-মুঠিমুজুর থেকে শুরু এমন কোন কাজ নেই যে তার করে নাই। অজয় সুরেখার বাবা চাচারা চুয়াডাঙ্গায় থেকে চলে যান মেহেরপুরে, এখনো অজয় সুরেখা মেহেরপুরের শেষ্ট করদাতা হিসাবে নির্বাচিত হন। এর পরে অজয় সুরেখার বাবা আসেন কুষ্টিয়ায়। শহরের রাজারহাট মোড়ে একটি পুড়োনো বাড়ি রয়েছে তাদের। এই বাড়ি থেকেই তারা সকল ব্যবসা পরিচালনা করেন। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সব কয়টির মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির ডিলার সহ এমন কোন ব্যবসা নেই যাতে হস্তক্ষেপ নেয়নি অজয় সুরেখা। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গোপন করে ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছে অজয় সুরেখা ও তার পরিবার। হোন্ডির মাধ্যমে কুষ্টিয়া থেকে ভারতে যাওয়া শত হাজার হাজার কোটি টাকা অজয় সুরেখার মাধ্যমে পাচার হয়।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে তার সম্পর্ক এতোটাই ভালো যে তার কথা মতো কুষ্টিয়া ভিশা সেন্টার চালু করে ভারত।

৫ই আগষ্ট কেন্দ্রিক একাধিক মামলা হলেও তার টিকে ছুতে পারেনি প্রশাসন। রমেশ সুরেখা সহ তার পরিবারের অনান্য সদস্যরা ভারতে অবস্থান করছেন।

মাহবুবুল আলম হানিফের আস্তাভাজন হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের কোষাদক্ষ পদ বাগিয়ে নিয়ে অজয় সুরেখা। পদ পাওয়ার পর কুষ্টিয়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্কের আর এক নাম বনে যান তিনি। নিয়ন্ত্রন নেয় সরকারি সারের ডিলার।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানাযায়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা কুষ্টিয়াতে আসলে তাদের মনোরঞ্জনের জন্য নারী , মদ সহ নানা আয়োজনের দায়িত্ব অজয় সুরেখারই থাকতো।

বর্তমানে অজয় সুরেখা ভারতে থাকলেও তার ব্যবসা কোন এক অদৃশ্য শক্তি চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই ব্যবসার অর্থ দিয়েই চলছে কুষ্টিয়া জেলাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা।

কুষ্টিয়ার জেলা বিএনপির একাধিক নেতার সাথে কথা বললে তারা বলেন ,অজয় সুরেখা আমাদের কুষ্টিয়ায় থেকে ব্যবসা করে তার আয়কৃত অর্থ দিয়ে আমাদেরকেই ধংস করছে। দ্রুত তাকে বিচারের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। পাশাপাশি তার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের জোর দাবি জানান।

কুষ্টিয়ায় একা বাড়িতে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

মেজবা উদ্দিন পলাশ প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১:০৭ এএম
কুষ্টিয়ায় একা বাড়িতে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথরাপুর বড়বাজার আশ্রয় প্রকল্প এলাকায় এক চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তারই এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় ৫৫ বছর বয়সী সাহাজুল ফকির নামের ওই বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত পহেলা মার্চ দুপুরে ওই শিশুটি তার বাড়িতে একা ছিল। এ সময় একই গ্রামের সাহাজুল ফকির শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে তার মা ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তকে দেখে ফেলেন। পরে সেখান থেকে সাহাজুল দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কয়েকদিন ধরেই এলাকাজুড়ে নানা গুঞ্জন চলছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হলেও শিশুটির বাবা তা আপস করতে রাজি হননি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির বাবা ও অভিযুক্ত সাহাজুলকে থানায় নিয়ে আসে। পরে শিশুটির বাবা রাতেই থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত সাহাজুল ফকিরকে গ্রেপ্তার করে এবং শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান,অভিযুক্ত সাহাজুল পেশায় রাজমিস্ত্রি। শিশুর বাড়ির পাশে মেছের ফকিরের আস্তানায় নিয়মিত গাঁজা সেবন করতে যায়। গেল কয়েকদিন ধরে মেছের ফকির বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, “অভিযুক্ত সাহাজুল ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ওই শিশুটি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

শৈলকুপায় গলায় ছুরি ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

মো:মিজানুর রহমান(বিশেষ প্রতিনিধি) প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ৫:৩৩ পিএম
শৈলকুপায় গলায় ছুরি ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, গত ৩ মার্চ দেবতলা গ্রামের আহতাফ কাজীর ছেলে রিপন কাজী তার মেয়েকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এর কয়েক দিন পর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

তখন সে বাসায় ঘটনাটি খুলে বলে। সে জানায়, এর আগেও রিপন তাকে একইভাবে কয়েকবার ধর্ষণ করেছে। তখন এ কথা কাউকে না বলতে তাকে গলায় ছুরি ধরে ভয়ভীতি দেখানো হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লোকলজ্জার ভয়ে তাকে কুষ্টিয়ায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাই।

পরে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে আমরা থানা-পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’

শৈলকুপা থানার পরিদর্শক শাকিল আহমেদ বলেন, ‘অভিযুক্তকে আটকের জন্য আমরা অভিযান চালাচ্ছি। এ ছাড়া ভুক্তভোগীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

Oplus_131072

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসেবে আজ ভোররাতে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার কামালপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি কর্তৃক পরিচালিত এই অভিযানে কুষ্টিয়া
দৌলতপুর থানাধীন কামালপুরের পচা বিটা এলাকার মোঃ জামাল উদ্দিনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযানের সময় বাড়ির ছাদের ওপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি অস্ত্রের বিস্তার এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতির ঝুঁকি মাথায় রেখে সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরও এর বাইরে নয়। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রটির প্রকৃতি ও উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে তদন্ত করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দেশব্যাপী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীর অভিযান আরও জোরদার করা হবে। অপরাধ দমন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়েছে।