শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩১ ফাল্গুন ১৪৩১
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩১ ফাল্গুন ১৪৩১

স্তুতি দিয়ে সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই: প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:০১ পিএম | 13 বার পড়া হয়েছে
স্তুতি দিয়ে সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই: প্রধান উপদেষ্টা

স্তুতি দিয়ে সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই: প্রধান উপদেষ্টা

দেশের বিভিন্ন অঙ্গনে তোষামোদ বা চাটুকারিতার যে সংস্কৃতি চালু রয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
ডিসি সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “এটা মহাশক্তিধর একটি সমাবেশ। আমরা যা করি, যা চিন্তা করি, যা পরিকল্পনা করি- সেটাই সরকার, সেটাই সরকারের চিন্তা, সরকারের ভাবনা। সেটাই সরকারের কর্তব্য। কাজেই এই মহাশক্তি নিয়ে আমরা কী কাজ করব, কী কাজের জন্য আমরা তৈরি, কী কাজে আমরা সফল, কী কাজে আমরা বিফল- সেগুলোই আজকের সমাবেশের আলোচ্য বিষয়। সেখানে কাউকে স্তুতি দিয়ে সময় নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। এই স্তুতি বাক্য পরিহার করার আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিলাম। সভা-সমিতিতে স্তুতি বাক্য খুব অগ্রহণযোগ্য জিনিস বলে আমরা চালু করব।”
রোববার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে তিন দিনের ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন ইউনূস।
সরকার পরিচালনাকে খেলার দলের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে যা কিছু করণীয়, সেই করণীয়র দায়িত্বে আমরা সবাই আছি; এমনভাবে চিন্তা করুন, আমরা একটা খেলার- ক্রিকেট বা ফুটবল খেলার খেলোয়াড়। আমাদের আজকে এই খেলোয়াড়দের সমাবেশ। প্রস্তুতি নেওয়া যে- আমাদের স্ট্র্যাটেজি কী হবে, অবজেকটিভ কী হবে, আমাদের কার কী করণীয়- এসব ঠিক করা।”
সরকারপ্রধান বলেন, “আমরা টিম হলাম কি না? যদি এটা বাংলাদেশ সরকার হয়ে থাকে, বাংলাদেশ সরকারকে একটা টিম হতে হবে। এটা টিম ওয়ার্ক। এটা এমন না যে- আমি আমার মতো করলাম, ও ওর মতো করলো- ওইটা হয় না, কোনো কাজেই হয় না। টিম গঠনের জন্য যখন একত্রিত হয়- তখন টিমের চিন্তা, করণীয় সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। কার কী আছে, তোমার কারণে আমারটা নষ্ট হচ্ছে। কাজেই খেলা হলো একটা সামগ্রিক জিনিস। একজনের ভুল কাজে পুরো টিম তার সাফল্য থেকে বঞ্চিত হয়। কাজেই আমরা কেউ যেন এমন কোনো ভুল কাজ না করি- যাতে করে পুরো টিমের সাফল্য ব্যাহত হয়; আমাদের গন্তব্যে পৌঁছানো ব্যাহত হয়। এটা নিয়েই আমাদের আলোচনা- আমরা কী করছি।”
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দুই দিন বাদে শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার যাত্রা করে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাঠামোর সংস্কার শেষে চলতি বছর নাগাদ সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে চায় এই সরকার।
ইউনূস বলেন, “সরকার গঠনের পর থেকে ছয় মাস চলে গেল। এটা আমাদের প্রথম পর্ব। আয়োজন করার জন্য যে সময় লাগে; অনেক ভুল-ভ্রান্তি হয়েছে এই আয়োজনের সময়। এখন সেগুলো ঠিকঠাক করে আমরা পুরো খেলার জন্য প্রস্তুত। সেই প্রস্তুতিটা আমাদের হলো কি না, না হলে কী কী ঘাটতি আছে, সেগুলো ঠিক করা। এটা যদি কোনো কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরদের কোনো বৈঠক হতো, তাতে যারা শরিক হচ্ছে- তারা কী বলতো? নিশ্চয় ম্যানেজিং ডিরেক্টরের প্রশংসায় সময় নষ্ট করতো না। তারা বলতো, ‘এই কাজ দিয়েছেন আমাকে, আমি এই কাজ করেছি, আমার এই সাফল্য হয়েছে, আমি আরও এই কাজের জন্য প্রস্তুত’। “আমি দুইভাবে দেখালাম- একটা হলো মাঠের খেলার খেলোয়াড়, আর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ফিল্ড অফিসারদের বক্তব্য। এই সরকারের যারা খেলোয়াড় আছে, তাদের এই ভূমিকা ওই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোনটার মতো হতে হবে? আমরা কী করছি, কী করা দরকার, কোথায় আমরা আটকে যাচ্ছি- সেগুলো নিয়ে আলোচনা।”
বক্তব্যে এ পর্যায়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাকে প্রধান অতিথি বলায় একটু কষ্ট পেলাম- যেন আমাকে বাইরে রাখা হলো। এই খেলার মাঠ থেকে হওয়া উচিত ছিল তো আমাকে খেলার ক্যাপ্টেন, কিন্তু আমাকে করলো অতিথি! আমি অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে চাই না, আমি ক্যাপ্টেন হিসেবে বক্তব্য রাখতে চাই- আমাদের করণীয় কী। কাজ কি আমাদের একেবারে হাতেগোনা মাপা জিনিস? এটা নিত্যনৈমিত্তিক, নতুন কিছু আসে তা না; একই জিনিস বারেবারে আসছে, বিভিন্ন ভঙ্গিতে আসছে। সেগুলো আমরা কে কীভাবে করছি, কী হলে আরও ভালো হতো, কোঅর্ডিনেশনটা কীভাবে হলে ভালো হতো, ক্যাপ্টেনের সিগনালটা কীভাবে ফিল্ডে গেলে ভালো হতো- এসব নিয়েই আলোচনা।”
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিনই হামলা চালানো হয় থানাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায়। লুটপাট-ভাংচুর করে আগুন দেওয়া হয়। হামলা হওয়া থানাগুলোতে ধ্বংস হয়ে যায় মামলার নথি, আলামতসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সবকিছু। এরপর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আমরা যেহেতু এমন পরিস্থিতিতে এসেছি, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা মস্ত বড় ইস্যু হয়ে গেল। এতে আমরা কে কী পরিমাণে অগ্রসর হলাম, কী করণীয়- এটা এক নম্বর বিবেচ্য বিষয়। আইনশৃঙ্খলায় আমরা যেন বিফল না হই, কারণ এতে আমাদের সমস্ত অর্জন সফলভাবে অর্জিত হতে বা বিফলতায় পর্যবসিত হতে পারে। সেটাই নিয়ে এই সম্মেলনে আলোচনা হোক। ফিরে যাবার পর যেন এটা বোঝাবুঝির মধ্যে কোনো গলদ না থাকে। পরস্পরের যোগাযোগ আনন্দদায়ক এবং সফল হোক। আমাদের এই অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে যেটুকু তোমাদের মাধ্যমে করতে পারব, তোমাদের কারণে আমরাও যেন স্মরণীয় হতে পারি- ‘উনাদের সময় ডিসি সাহেব এই কাজগুলো আমাদের করে দিয়ে গেছে’।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এখানে কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত, সেগুলো সবার খুব ভালো করেই জানা আছে। পুলিশ প্রশাসনের কাজ কী, সিভিল প্রশাসনের কাজ কী, কো-অর্ডিনেশনের কাজ কী—সবাই জানে। কিন্তু যদি বলি, ‘ওর কারণে আমারটা হয় না’, এটা বলে আমরা কিন্তু পার পাব না।
“যেহেতু জেলার দায়িত্ব সামগ্রিকভাবে একজনের ওপরে, তার সঙ্গে কো-অর্ডিনেশন করে সবকিছু করতে হয়। কাজেই সে কো-অর্ডিনেশনের কী সমস্যা, নাকি পৃথকভাবে হবে—সেগুলো পরিষ্কার করে নেওয়া প্রয়োজন, যাতে কাজ করতে গিয়ে আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে না যাই।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হলে কী করতে হবে, উপর থেকে নিচ পর্যন্ত চেইন অব কমান্ড কীভাবে যাবে-এটা স্পষ্ট থাকতে হবে। এই নয় যে, ‘এটা আমার কাজ ছিল না, আমি এটাতে মনোযোগ দেই নাই’- এভাবে বললে হবে না। আমরা তো সবাই মিলে সরকার। কাজেই এটা থেকে আমাদের উদ্ধার হতে হবে।”
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, “নারী-শিশুদের রক্ষা এবং সংখ্যালঘুদের রক্ষা একটা মস্তবড় দায়িত্ব; কারণ এটার উপরে সারা দুনিয়া নজর রাখে আমাদের উপরে। আমরা সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কীভাবে ব্যবহার করছি- একটা ছোট্ট ঘটনা সারা দুনিয়ায় বিশাল হয়ে যায়। আমি সেই ভয়ের জন্য বলছি না, এটা আমাদের সরকারের দায়িত্ব- সকল নাগরিকের সুরক্ষা বিধান করা। আমি সংখ্যালঘুদেরও বলেছি, আপনারা সংখ্যালঘু হিসেবে দাবি করবেন না, দেশের নাগরিক হিসেবে দাবি করুন। সংবিধান আপনাকে অধিকার দিয়েছে, সেই অধিকার আপনাকে সরকারের কাছ থেকে পেতে হবে- এটা আপনাদের পাওনা। আমাদের সরকারের টিমের দায়িত্ব সকলের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। আমি এর সরকার, তারও সরকার।”
এবারও জেলা প্রশাসক সম্মেলনের মূল আয়োজন হবে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিসিদের মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যায় তিনি বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভায় যোগ দেবেন, আর রাতে নৈশভোজে অংশ নেবেন।
দ্বিতীয় দিন কার্য-অধিবেশনের বাইরে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ডিসিরা। সন্ধ্যায় তারা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রধান বিচারপতির আপ্যায়ন আয়োজনে অংশ নেবেন।
এবারের সম্মেলনে ৩৪টি কার্য-অধিবেশন থাকছে, যাতে ৩৫৩টি প্রস্তাব আলোচনা হওয়ার কথা। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্মেলনের শেষ দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি অধিবেশনে থাকছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত নির্বাচনের আগে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে নির্বাচন কমিশন। ডিসি সম্মেলনে এবারই প্রথম নির্বাচন কমিশন অংশগ্রহণ করছে।
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবার রাষ্ট্রপতির অধিবেশন থাকছে না।

কুষ্টিয়ায় একা বাড়িতে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

মেজবা উদ্দিন পলাশ প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১:০৭ এএম
কুষ্টিয়ায় একা বাড়িতে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথরাপুর বড়বাজার আশ্রয় প্রকল্প এলাকায় এক চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তারই এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় ৫৫ বছর বয়সী সাহাজুল ফকির নামের ওই বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত পহেলা মার্চ দুপুরে ওই শিশুটি তার বাড়িতে একা ছিল। এ সময় একই গ্রামের সাহাজুল ফকির শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে তার মা ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তকে দেখে ফেলেন। পরে সেখান থেকে সাহাজুল দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কয়েকদিন ধরেই এলাকাজুড়ে নানা গুঞ্জন চলছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হলেও শিশুটির বাবা তা আপস করতে রাজি হননি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির বাবা ও অভিযুক্ত সাহাজুলকে থানায় নিয়ে আসে। পরে শিশুটির বাবা রাতেই থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত সাহাজুল ফকিরকে গ্রেপ্তার করে এবং শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান,অভিযুক্ত সাহাজুল পেশায় রাজমিস্ত্রি। শিশুর বাড়ির পাশে মেছের ফকিরের আস্তানায় নিয়মিত গাঁজা সেবন করতে যায়। গেল কয়েকদিন ধরে মেছের ফকির বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, “অভিযুক্ত সাহাজুল ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ওই শিশুটি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

শৈলকুপায় গলায় ছুরি ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

মো:মিজানুর রহমান(বিশেষ প্রতিনিধি) প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ৫:৩৩ পিএম
শৈলকুপায় গলায় ছুরি ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, গত ৩ মার্চ দেবতলা গ্রামের আহতাফ কাজীর ছেলে রিপন কাজী তার মেয়েকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এর কয়েক দিন পর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

তখন সে বাসায় ঘটনাটি খুলে বলে। সে জানায়, এর আগেও রিপন তাকে একইভাবে কয়েকবার ধর্ষণ করেছে। তখন এ কথা কাউকে না বলতে তাকে গলায় ছুরি ধরে ভয়ভীতি দেখানো হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লোকলজ্জার ভয়ে তাকে কুষ্টিয়ায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাই।

পরে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে আমরা থানা-পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’

শৈলকুপা থানার পরিদর্শক শাকিল আহমেদ বলেন, ‘অভিযুক্তকে আটকের জন্য আমরা অভিযান চালাচ্ছি। এ ছাড়া ভুক্তভোগীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

সকালের বাংলাদেশ ডেস্ক প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

Oplus_131072

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসেবে আজ ভোররাতে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার কামালপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি কর্তৃক পরিচালিত এই অভিযানে কুষ্টিয়া
দৌলতপুর থানাধীন কামালপুরের পচা বিটা এলাকার মোঃ জামাল উদ্দিনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযানের সময় বাড়ির ছাদের ওপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি অস্ত্রের বিস্তার এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতির ঝুঁকি মাথায় রেখে সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরও এর বাইরে নয়। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রটির প্রকৃতি ও উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে তদন্ত করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দেশব্যাপী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীর অভিযান আরও জোরদার করা হবে। অপরাধ দমন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানানো হয়েছে।