
রমজানকে সামনে রেখে খেজুর, ছোলা, চিড়া, মুড়ি ও গুড়ের দাম এখনো স্থিতিশীল থাকলেও কুষ্টিয়ার বাজারে বেড়েছে লেবু, শসা, বেগুনসহ সবজির দাম।
শনিবার (১ মার্চ ) কুষ্টিয়া পৌর বাজার ঘুরে ঠিক এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজারে ক্রেতা সাধারণের ভিড় ছিল উপচে পড়া।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হচ্ছে রমজান, এ কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। এ অতিরিক্ত চাহিদার কারণে কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। পণ্যে সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম কমে আসবে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজানে খেজুরের চাহিদা বেশি থাকায় প্রকারভেদে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ছোলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০৫-১১০ টাকা। সেই সাথে মসুর ডাল ১১০-১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তবে অস্থিরতা রয়ে গেছে সয়াবিন তেলের বাজার। গত বৃহস্পতিবার প্রতি লিটার ১৮০ টাকা বিক্রি হলেও দোকানীরা দাম বাড়িয়ে এখন বিক্রি করছে ১৯০ টাকা এমন অভিযোগ করছে সাধারণ ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা বলছেন, সয়াবিন তেল সংকট থাকায় এমনটি হচ্ছে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিনের দাম প্রতি লিটার ২০০ টাকা হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা।
এছাড়া বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা এবং খাসি ১০৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বাভাবিক রয়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম।
রমজান ঘিরে বাজারে মুড়ির চাহিদা বাড়াই প্রতি কেজি মুড়ি ৭০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিড়া প্রতি কেজি ৮০ টাকা, গুড় ১২০-১৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
লেবুর চাহিদা বাড়াই বাড়তি দামে লেবু বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি লেবু ৭০ টাকা যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা হালি।
অন্যদিকে, বেসম ৮০- ১২০ টাকা, বেগুন সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে ৩০ টাকা যা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে, শসা ৫০ টাকা, ডিম প্রতি হালি ৪২ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে।
কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা হলে তারা বলেন, অনেক পণ্যের দাম ঠিকঠাক থাকলেও কিছু কিছু পণ্যের দাম বিক্রেতারা সিন্ডিকেট তৈরি করে বাড়িয়েছে। বাজার মনিটরিং চালু থাকলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কুষ্টিয়া জেলার সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলী বলেন, আমাদের বাজার মনিটরিং চলমান রয়েছে। আমরা বেশ কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।